ঢাকা, রবিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

আদালতের নির্দেশনা হাতে আসলেই গ্রেফতার এসআই রতন

নুরুল আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৬
আদালতের নির্দেশনা হাতে আসলেই গ্রেফতার এসআই রতন ছবি: প্রতীকী

ঢাকা: রাজধানীতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় অভিযুক্ত এসআইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

গ্রেফতার পরোয়ানা হাতে পৌঁছলেই সাময়িক বরখাস্ত আদাবর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রতন কুমার যে কোন মুহূর্তে গ্রেফতার হতে পারেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।



আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা হাতে পেলেই পুলিশ এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারের উপ-কমিশনার মারুফ  হোসেন সরদার।

মারুফ  হোসেন সরদার বাংলানিউজকে বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সাময়িক বরখাস্ত এসআই রতন কুমার বর্তমানে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের ব্যারাকে রয়েছেন।

এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদের কাছে এসআই রতন কুমারের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে হয়রানি করার অভিযোগ ওঠে। এরপরই তাকে ক্লোজড করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়। এরপর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর আদালতে মামলা করেন ওই শিক্ষার্থী।
আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শাহীনুর রহমান বাংলানিউজকে  বলেন, ‘আমি গণমাধ্যমে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি জানতে পেরেছি। তবে তাকে গ্রেফতারের দায়িত্ব আদাবর থানার নয়। তাকে রাজারবাগে ক্লোজ করা হয়েছে। আদালতের আদেশ সরাসরি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার কাছে যাবে। তিনিই কাগজ হাতে পেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। ’

এর আগে এই ঘটনার পর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির প্রতিবেদনে এসআই রতনের কোন দোষ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে আদালতে করা মামলার তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। তাই ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক সালেহউদ্দিন আহম্মেদ তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির এই আদেশ দেন। গ্রেফতার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৬ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, এসআই রতন কুমারের বিরুদ্ধে বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি। এ তদন্তে পাঁচজন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬,  ২০১৬
এনএ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।