ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

৪ শিশু হত্যার ঘটনার বিচারে ট্রাইব্যুনাল হবে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৬
৪ শিশু হত্যার ঘটনার বিচারে ট্রাইব্যুনাল হবে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামে অপহরণের পর বালুচাপা দিয়ে চার শিশু হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার করতে ট্রাইব্যুনাল করার আশ্বাস দিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।

শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টায় সুন্দ্রাটিকি গ্রামে ওই শিশুদের বাবা-মাকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে তিনি এ আশ্বাস দেন।



পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ন্যাক্কারজনক এ ঘটনায় যতো শক্তিশালীরাই জড়িত থাকুক না কেন, রাজন হত্যাকারীদের মতো তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। এ ব্যাপারে সরকার বদ্ধপরিকর।

তিনি এ ধরণের ঘটনার যাতে আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দেন।

এর আগে  প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে প্রত্যেক শিশুর অভিভাবকের হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনের সংসদ সদস্য এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু, সিলেট-হবিগঞ্জ সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম ও পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র প্রমুখ।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি সুন্দ্রাটিকি গ্রামের ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র জাকারিয়া শুভ (৮), আবদাল মিয়ার ছেলে প্রথম শ্রেণির ছাত্র মনির মিয়া (৭), আব্দুল আজিজের ছেলে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র তাজেল মিয়া (১০) ও সুন্দ্রাটিকি আনওয়ারুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসার নুরাণী প্রথম শ্রেণির ছাত্র আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল মিয়াকে (১০) অপহরণ করা হয়। ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে গ্রাম থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে ইছারবিল খালের পাশে বালুচাপা অবস্থায় তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

শিশু মনির, শুভ ও তাজেলের বাবার সঙ্গে একটি বড়ই গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের পঞ্চায়েত আব্দুল আলী ওরফে বাগল মিয়ার বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের জের ধরে ওই শিশুদের অপহরণের পর হত্যা করা হয় বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৬
এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।