ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

গুলশান-২ টু বনানী

এক বছরেও আইল্যান্ডের কাজের কোনো গতি নেই!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৬
এক বছরেও আইল্যান্ডের কাজের কোনো গতি নেই! ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজধানীর ব্যস্ততম সড়কগুলোর মধ্যে গুলশান-২ টু বনানী রোড অন্যতম। অভিজাত এলাকার এ সড়কে আইল্যান্ডের সৌন্দর্য বর্ধনের নামে একবছর ধরে চলছে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। সিডিউল মতে, ৬ মাসের মধ্যে আইল্যান্ডের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ শেষ করার কথা, কিন্তু...

ঢাকা: রাজধানীর ব্যস্ততম সড়কগুলোর মধ্যে গুলশান-২ টু বনানী রোড অন্যতম। অভিজাত এলাকার এ সড়কে আইল্যান্ডের সৌন্দর্য বর্ধনের নামে একবছর ধরে চলছে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ।

সিডিউল মতে, ৬ মাসের মধ্যে আইল্যান্ডের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু বছর পেরিয়ে গেলেও কাজ শেষ করার কোনো গতি দেখা যাচ্ছে না।  
 
গুলশান-২ থেকে বনানী সড়কে সৌন্দর্য বর্ধনের নামে খোঁড়াখুঁড়ি এমন বেহাল চিত্র চোখ পড়ে।  

সরেজমিনে দেখা যায়, এক বছর ধরে চলতে থাকা এ প্রকল্পে ২০-২৫ জন শ্রমিক কাজ করছে, কোথাও কোথাও এখনও মাটি খুঁড়তে দেখা গেছে, আবার কোথাও আইল্যান্ডের ঢালাই কাজ শেষের দিকে।

রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কারণে ব্যস্ততম এ সড়কে প্রতিদিনই সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। পথচারীদেরও পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে।    

‘সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণের কাজ এরকম বছরের পর বছর চলতে থাকাটা আমাদের মতো দেশের জন্য আরো ক্ষতিকর। উন্নত বিশ্বে এ ধরনের কাজের জন্য মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী একটানা কাজ চলে। শুধু আমাদের শহর গুলোতেই হচ্ছে তার ব্যতিক্রম’- এমনই বলছিলেন একটি প্রাইভেট ব্যাংকের কর্মকর্তা আতিকুর রহমান।
 
এ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের ম্যানেজার আব্দুর রফ মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় একবছর ধরে কাজ চলছে। কাজের চাপ থাকলে শ্রমিক বাড়াই, না থাকলে শ্রমিক কমাই। এ ভাবেই কাজ চালিয়ে আসছি, এখন মোট ৫০ জন শ্রমিক কাজ করছে।
 
কত দিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে জানতে চাইলে রফ মিয়া বলেন, কমপক্ষে আরও ৬ মাস সময় লাগবে, তবে দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি আমরা।
 
সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার ইকবাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন ভিন্ন কথা। তার ভাষ্য, আমরা খুব দ্রুত কাজ করছি, প্রতিদিন ১০০-১৫০ শ্রমিক কাজ করছে, চলতি মাসের ২০ তারিখের মধ্যে গুলশান-২ পর্যন্ত কাজ শেষ হয়ে যাবে। অভিজাত এলাকার কথা মাথায় রেখেই দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি।
 
তার অভিযোগ, সংস্কার ও উন্নয়ন কাজে যে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়, তা যথাসময়ে ছাড়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে। অর্থ ছাড়ের বিষয়টি আমলাতান্ত্রিক লালফিতার দৌরাত্ম্যের মধ্যে পড়ে গেলে কাজ সম্পন্ন করতে অনেক সময় লাগে।  
 
তবে ওই রুটে চলাচলকারী ভুক্তভোগীদের অভিমত, খোঁড়াখুঁড়ি এক বছর ধরে ঝুলে থাকায় সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প মূলত অভিজাত এলাকার সৌন্দর্য নষ্ট করছে, সঙ্গে সঙ্গে সৃষ্টি করেছে জনদুর্ভোগ। দ্রুত কাজ শেষ করে জনদুর্ভোগের ইতি ঘটানো হবে, সংশ্লিষ্টদের প্রতি এমনটাই প্রত্যাশা ভুক্তভোগীদের।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৬
এসটি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।