লালমনিরহাট: লালমনিরহাটে লাইজু বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।
শনিবার (১২ নভেম্বর) দিনগত রাতে সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ মাঝিটারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর থেকে লাইজুর স্বামী রুহুল আমীনসহ (৩৫) পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
নিহত লাইজু সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের পূর্ব কালমাটি নদীরপাড় গ্রামের রুহুল আমিনের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, ৮ বছর আগে লাইজুর সঙ্গে বিয়ে হয় নদীরপাড় গ্রামের আব্দুল করিম পচানের ছেলে রুহুল আমীনের। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন অজুহাতে রুহুল লাইজুকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। এ নিয়ে গত বছর স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) গ্রাম আদালতে বিচার প্রার্থী হন লাইজুর বাবা আব্দুস সামাদ। নির্যাতন না করার মুচলেকা দিলে বিচারকরা পুনরায় লাইজুকে স্বামীর বাড়ি পাঠান। এরপরও থেমে থাকেনি নির্যাতন।
শনিবার রাতে রুহুল লাইজুকে বেধড়ক মারধর করে। একপর্যায়ে গলায় রশি পেঁচিয়ে লাইজুকে হত্যা করে সপরিবারে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান রুহুল।
রোববার (১৩ নভেম্বর) সকালে তাদের কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে স্থানীয়রা বাড়িতে ঢুকে লাইজুর মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহতের বাবা আব্দুস সামাদ বাংলানিউজকে জানান, বিয়ের পর থেকে প্রায়ই লাইজুকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতেন রুহুল ও তার পরিবারের লোকজন। তিনি মেয়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, মরদেহের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৬, আপডেট : ১৩১৫ ঘণ্টা
আরবি/আরএ