ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সাগরের বুকে রঙিন আয়োজন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৬
সাগরের বুকে রঙিন আয়োজন ছবি: কাশেম হারুন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

অল্প সংখ্যক হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজ‍ার মাধ্যমে শুরু হওয়া রাস উৎসব এখন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব গোত্রের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। তাই কালের বিবর্তনে পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রঙিন হয়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগরের বুকে দুবলার চরের এ উৎসব। মেলা উপলক্ষে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে এখানে।

দুবলার চর থেকে: অল্প সংখ্যক হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজ‍ার মাধ্যমে শুরু হওয়া রাস উৎসব এখন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব গোত্রের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। তাই কালের বিবর্তনে পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রঙিন হয়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগরের বুকে দুবলার চরের এ উৎসব।

মেলা উপলক্ষে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে এখানে।

প্রকৃতির নিয়মে রোববার (১৩ নভেম্বর) রাতে বছরের রাস পূর্ণিমা। এ রাতকে কেন্দ্র করেই হিন্দু পূণ্যার্থীর পাশাপাশি নানা ধর্মের দর্শনার্থীরা ভিড় জমিয়েছেন দুবলার চরে। মেলার আয়োজক কমিটির যথাসাধ্য চেষ্টায় সাজানো হচ্ছে চরটি।
এবার অনুষ্ঠানের গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের উপস্থিতি। সমুদ্রবুকের মেলায় এবার প্রধান অতিথি হচ্ছেন তিনি। চারদিকে তাই সাজ সাজ রব। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা।

আয়োজকরা ব্যস্ত অনুষ্ঠান স্থানকে সাজিয়ে তুলতে। রঙিন কাগজে মুড়িয়ে অনুষ্ঠানমঞ্চসহ পুরো এলাকাকে অনন্যরূপ দেওয়া হয়েছে।

এ মেলাকে কেন্দ্র করে পসরা সাজিয়ে বসেছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। কাঁচা তরকারি থেকে শুরু করে কাপড়, বাসন, গহনাসহ সব ধরনের পণ্যসামগ্রী উঠেছে দুবলার চরে। প্রতি মুহূর্তেই টহল দিচ্ছেন ৠাব, পুলিশ, কোস্টগার্ড, বনবিভাগের কর্মকর্তারা।

আয়োজন সম্পর্কে মেলা পরিচালনা কমিটির প্রধান কামাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, এ মেলা এখন আর বাংলাদেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পূণ্যার্থীরাও আসছেন এ মেলায়। মেলার প্রস্তুতি সম্পন্ন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আমাদের কমিটির পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

‘পূণ্যার্থীদের পূজার পাশাপাশি মেলাকে স্বস্তিদায়ক করে তুলতে আমরা বদ্ধ পরিকর। ’

পূজা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোববার রাত আটটার পরে রাসমেলার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এখানকার মন্দিরে শুরুতে শিবপুজার পরে বনদেবীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

এরপর রাত ১২টায় রাধা ও কৃষ্ণ পূজার পরে অনুষ্ঠিত হবে যজ্ঞ। প্রায় রাতভর যজ্ঞ চলার পরে ভোরে সূর্যোদয়ের পর দেবীর পূজা সেরে সাগরের পানিতে পূণ্যস্নান করবেন পূণ্যার্থীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৬
জেপি/ওএইচ/এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।