চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার গোবিন্দহুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী জাকিরুল ও মনিরুলকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক কুতুব উদ্দীন।
শনিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে বিদ্যালয় চলাকালীন এ নির্যাতনের শিকার হয় ওই দুই শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক কুতুব উদ্দীনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের বাবা মজিবার রহমান।
এদিকে ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
উপজেলার গোবিন্দহুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলে, স্যার ক্লাসে এসে মনিরুলকে পড়া ধরে। এসময় সে কয়েকটি উত্তর সঠিক দেয় কিন্তু একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে না পাড়ায় স্যার মনিরুলকে মারতে শুরু করে। এ সময় একই ক্লাসের মনিরুলের জমজ ভাই জাকিরুল স্যারকে এভাবে না মারতে অনুরোধ জানায়।
প্রত্যক্ষদর্শী রবিউল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী জানায়, মারতে নিষেধ করার পর স্যার আরো ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি দিয়ে দুই ভাইকেই পেটাতে থাকেন। পেটাতে পেটাতে ক্লাসরুমের বাইরে নিয়ে আসেন। সেখানে বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকদের সামনেই পেটাতে থাকেন অভিযুক্ত ওই শিক্ষক। একপর্যায়ে দুই শিক্ষার্থী জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
পরে সহপাঠিরা মনিরুল ও জাকিরুলকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তাদের অভিযোগ প্রকাশ্যে দুই শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করা হলেও ওই শিক্ষককে কোন শিক্ষকই নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন নি।
ঘটনাটি জানাজানি হলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থীর মা বেলী খাতুন অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক। ঘটনার সময় ওই শিক্ষককে বারবার নিবৃত্ত করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কর্ণপাত করেন নি।
দামুড়হুদা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ কুমার শাহ জানান, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। দোষ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে নির্যাতনের শিকার দুই শিক্ষার্থীর বাবা মজিবার রহমান।
অভিযুক্ত শিক্ষক কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৬
আরএ