ঢাকা: বাংলাদেশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি সাবমেরিন হস্তান্তর করেছে চীন। ‘নবযাত্রা’ ও ‘জয়যাত্রা’ নামের এ সাবমেরিন হাতে পাওয়ার মাধ্যমে সত্যিকারের ত্রিমাত্রিক নৌশক্তি হিসাবে যাত্রা শুরু করলো বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) চীনের দালিয়ান প্রদেশের লিয়াওনান শিপইয়ার্ডে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চীন সরকারের পক্ষ হতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, ওএসপি, এনডিসি, পিএসসি এর নিকট সাবমেরিন দুটি হস্তান্তর করেন রিয়ার এডমিরাল লিউ জিঝু। এ সময় চীন এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উচ্চপদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সাবমেরিন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী প্রধান বলেন, চীন হতে দুটি সাবমেরিন সংগ্রহের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ত্রিমাত্রিক শক্তি হিসাবে যাত্রা শুরু করলো।
তিনি এই সাবমেরিন দুটির নতুন ভাবে সজ্জিতকরণ এবং ক্রুদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়ায় চীনা নৌবাহিনীর প্রশংসা করেন।
নৌ-বাহিনী প্রধান বলেন, বর্তমান সরকার নৌবাহিনীকে আধুনিক, ত্রিমাত্রিক ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসাবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন বাস্তবমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
নৌবাহিনীর উন্নয়নে এ সকল যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নৌপ্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য প্রস্তুতকৃত এই কনভেনশনাল সাবমেরিন দুটি ডিজেল ইলেকট্রিক সাবমেরিন, যার প্রতিটি দৈর্ঘ্যে ৭৬ মিটার এবং প্রস্থে ৭ দশমিক ৬ মিটার। সাবমেরিন দুটি টর্পেডো ও মাইন দ্বারা সু-সজ্জিত যা শত্রুপক্ষের যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিনকে আক্রমণ করতে সক্ষম।
সাবমেরিন দুটিকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার জন্য ইতিমধ্যে দুইদেশের নৌবাহিনীর অফিসার ও নাবিকদের যৌথ তত্ত্বাবধানে বাস্তব প্রশিক্ষণ ও সি ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ০৩৫ জি ক্লাসের সাবমেরিন দুটি খুব শীঘ্রই বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে এবং আগামী বছরের শুরুতে বানৌজা ‘নবযাত্রা’ এবং বানৌজা ‘জয়যাত্রা’ নামে নৌ বহরে যুক্ত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৬
আরএম/আরআই