একটি মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থাতেই সানির বিরুদ্ধে পর পর আরও দুটি মামলা দায়ের করেন ওই তরুণী। তবে সেসব মামলার কাগজপত্র এখনও তদন্ত কর্মকর্তার হাতে আসেনি, তাই আইসিটি আইনের মামলাটির তদন্তই করা হচ্ছে।
গত ৫ জানুয়ারি ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় আইসিটি আইনে দায়ের করা মামলায় ২২ জানুয়ারি আরাফাত সানিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর পুলিশের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সানির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ২৪ জানুয়ারি তাকে আবার আদালতে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
আইসিটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইয়াহিয়া বাংলানিউজকে বলেন, সানি নাসরিনকে ফেসবুকে ছবি পাঠিয়েছিল কিনা সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে দুইজনের মোবাইল জব্দ করা হয়েছে। মোবাইলগুলো ফরেনসিক টেস্টের জন্য সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। এখনও সিআইডি থেকে রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। সিআইডি রিপোর্ট পেলে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এরপর আরও দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আদালতে আরও দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে সেসব কাগজপত্র হাতে আসেনি। তাই আপাতত আইসিটি মামলাটিরই তদন্ত করা হচ্ছে।
সানিকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, সেগুলো যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিস্তারিত কিছুই বলা যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
এদিকে, কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র জানায়, আরাফাত সানি বর্তমানে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের শাপলা সেলে আছেন। ২৪ জানুয়ারি প্রথমে তাকে যমুনা সেলে নেওয়া হয়, তারপর ২৬ জানুয়ারি সেই সেল থেকে শাপলা সেলে পাঠানো হয়।
আইসিটি আইনে মামলার এজাহারে নাসরিন অভিযোগ করেন, আরাফাত সানির সঙ্গে নাসরিনের ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর বিয়ে হয়। গত বছরের ১২ জুন আরাফাত সানি দুজনের কিছু ব্যক্তিগত ছবি ও নাসরিনের কিছু আপত্তিকর ছবি ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে পাঠিয়ে হুমকি দেন।
মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
গত ২৩ জানুয়ারি ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করার অভিযোগে ঢাকা সিএমএম আদালতে এই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলা দায়ের করেন ওই তরুণী। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ৫ এপ্রিলের মধ্যে সানিকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর ১ ফেব্রুয়ারি ২০ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য মারধরের অভিযোগে আরাফাত সানির ও তার মায়ের বিরুদ্ধে তৃতীয় মামলা করা হয়। ঢাকা ৪নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এস এম রেজানুর রহমানের আদালতে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় আরাফাত সানির মা নার্গিস আক্তারকেও আসামি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৭
পিএম/আইএ