শনিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে এ ধমর্ঘট ডাকা হয়। তবে পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের সুপারেনটেন্ড শরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, পেট্রাপোলের বড় ব্যবসায়ীদের রফতানি পণ্যের চালান আগে বেনাপোল বন্দরে ঢোকানোর নির্দেশ আসে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। এতে ছোট ব্যবসায়ীরা এ আদেশের প্রতিবাদ জানিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দেয়।
এছাড়া সকাল থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে আসেনি বলেও জানান তিনি।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বাংলানিউজকে বলেন, দাবি আদায়ে যে কোনো কর্মসূচি ব্যবসায়ীরা ডাকতে পারেন। কিন্তু বিষয়টি যদি তারা আগে থেকে আমাদের জানাতেন তাহলে আমদানি স্থগিত করা হতো। এতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের ক্ষতি কম হতো। আমদানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় বেনাপোল ও পেট্রাপোল দুই বন্দরে ঢোকার অপেক্ষায় আটকা রয়েছে পণ্যবাহী সহস্রাধিক ট্রাক। এর মধ্যে মেশিনারি, গার্মেন্টস সামগ্রীর কাঁচামালের পাশাপাশি মাছ, পানসহ বিভিন্ন ধরনের পচনশীল পণ্য রয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধান না করলে ব্যবসায়ীদের বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উল্লেখ্য, সপ্তাহে শুক্রবার ছাড়া অন্যান্য সব দিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে দুপুর ১২টায় রফতানি বাণিজ্য ও সকাল ৮টায় আমদানি বাণিজ্য শুরু হয়। বাণিজ্য শেষ হয় সন্ধ্যা ৭টায়। এছাড়া প্রতিবছর এ বন্দর থেকে সরকার প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৭
এজেডএইচ/এজি/এসআই