হরতালের অংশ হিসেবে শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শাহজাদপুর পৌর এলাকার দোকান-পাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি রিকশা-ভ্যান এবং অটোরিকশা চলাচল বন্ধ ছিলো।
সকাল থেকেই জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা গণমাধ্যমকর্মী, স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন পেশার মানুষ কালো ব্যাজ ধারণ করে মোড়ে-মোড়ে অবস্থান নেন।
সকাল পৌনে ১১টার দিকে শাহজাদপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে শিমুলের নামাজে জানাজা শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্রলীগ। এরপর প্রেসক্লাব থেকে সাংবাদিকদের একটি বিক্ষোভ মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে। এতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকরা অংশ নেন।
সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপনের নেতৃত্বে আরও একটি শোক মিছিল হাই স্কুল রোড থেকে বের করা হয়। এতে সাবেক সংসদ সদস্য চয়ন ইসলাম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজাদ রহমান ছাড়াও আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা সমাবেশ করেন। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে আল্টিমেটাম দেন সাংবাদিক নেতারা। নতুবা বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দেন তারা।
এ সময় বক্তব্য রাখেন- সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফজল এ খোদা লিটন, শাহজাদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শফিকুজ্জামান শফি, সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক ও সম্মিলিত সাংবাদিক সমাজের হাসানুজ্জামান তৌহিদ প্রমুখ।
গত বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরুর ছোট ভাই পিন্টু শাহজাদপুর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বিজয়কে মারধর করেন। এ ঘটনায় মেয়রের বাসা থেকে পুলিশ পিন্টুকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এদিকে, বিজয়কে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে বিকেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মেয়রের বাসায় হামলা চালান। এক পর্যায়ে মেয়রের বাসা থেকে গুলি ছোড়া হলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দৈনিক সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুল গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৭
আরবি/টিআই