শনিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় টয়ো ফিড লিমিটেডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান টয়ো গ্রুপ পশু-পাখি ও মাছের খাবার বাজারজাত করা শুরু করেছে ডিজি ফিড নাম দিয়ে।
শেখ সেলিম বলেন, আজকে শুধু উৎপাদন করলে হবে না, কোয়ালিটি মেইনটেন করতে হবে। যার কোয়ালিটি নেই তার কোনো স্থান নেই। আশা করবো কোয়ালিটি মেইনটেন করবেন। আর যে সমস্ত ইন্ডাস্ট্রি আছে তাদের সকলের কোয়ালিটি মেইনটেন করতে হবে। আমাদের চাহিদা মিটিয়ে দরকার হলে পোল্ট্রি এবং ফিশের জন্য উৎপাদিত খাদ্য রপ্তানি করতে পারবো।
বর্তমানে দেশে শিল্প গড়ার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার যদি ক্ষমতায় না আসতো তাহলে শিল্প ক্ষেত্রে এ ধরনের বিকাশ ঘটতো না।
এক সময় অধিকাংশ কল কারখানা বন্ধ ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিংয়ে মানুষের জীবন অতিষ্ট হয়েছে। আজকে ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে চাহিদার ৮০ শতাংশ পূরণ হচ্ছে। ২০২১ সালে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উপাদন হবে, তখন মানুষের চাহিদার অভাব হবে না।
বর্তমানে রপ্তানি আয় ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অর্থবছর শেষে ৩৭ বিলিয়ন ডলার হবে। যখন আমরা ক্ষমতায় আসি ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ ছিল, এই রিজার্ভ দিয়ে অনেক চাহিদা মেটানো সম্ভব হয় না। আজকে তা ৩২ বিলিয়ন ডলার।
‘বিশ্বব্যাংকের ফিরে যাওয়ার পর আজকে নিজস্ব অর্থায়নে একটা নয় ১০টা পদ্মাসেতু নির্মাণের সক্ষমতা তৈরি হয়েছে। অগ্রসরমান পাঁচটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ স্থান করে নেওয়ায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ”
তিনি বলেন, সমুদ্র সীমায় প্রচুর মৎস্য আছে, যদি আহরণ করে রপ্তানি করতে পারি তাহলে রপ্তানি আইটেমের মধ্যে প্রথম হবে মৎস্য। আমাদের সে সুযোগ আছে।
“সেই সুযোগের জন্য দরকার শান্তি ও দরকার গণতন্ত্র, জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। ”
গ্যাসের সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করছি জানিয়ে তিনি বলেন, ২০২২ সালের মধ্যে চাহিদা অনেকটা মিটিয়ে দেবো।
প্রাণীর জন্য উৎপাদিত খাদ্যের কোয়ালিটি মেইনটেনের উপর গুরুত্বারোপ করেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
“কোয়ালিটি মেইনটেন করতে পারলে সেটি দেশের কল্যাণে কাজে দেবে। ”
ঢাকা গ্রুপের ডিজি ফিড উৎপাদনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত: এবং মানসম্মত পশু ও মৎস্য খাদ্য নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, উৎপাদিত পণ্য শুধু দেখতে ভালো হলে চলবে না। যারা খাবে যেন খেয়ে অসুখ-বিসুখ না হয়। মানুষ ভাল জিনিস চায়। এটা করতে পারলে সীমানা ছাড়িয়ে রপ্তানি করতে পারবো।
অনুষ্ঠানে টয়ো ফিড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম, বেপজা’র সাবেক সদস্য একেএম মাহবুবুর রহমান, ঢাকা গ্রুপের নূরুল ইসলামসহ বক্তব্য রাখেন।
আয়োজকরা জানান, উন্নতমানের পোল্ট্রি, ক্যাটল ও ফিস ফিডই দিতে পারে সুস্থ ও সবল গবাদিপশু ও মাছের নিশ্চয়তা। টয়ো ফিডের উৎপাদিত নতুন পশু ও মাছের খাবারে কোনো ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান নেই। যা মানবদেহ, গবাদিপশু ও মাছের জন্য স্বাস্থ্যকর। এর ফলে দেশের মানুষ সুস্থ ও সবল প্রাণিজ উপাদান পাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৭
এমআইএইচ/বিএস