সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বর্তমান সরকারের ১৩৬তম মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনা অনুযায়ী আনসার সার্কেল অ্যাডজুডেন্ট পদে ৩০২ জন এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনা অনুযায়ী মিড ওয়াইফ পদে ৬০০ জন নন ক্যাডার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় এই পদগুলোতে মেধা তালিকা থেকে সাধারণ প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ৩৫তম বিসিএসে মুক্তিযোদ্ধা, নারী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটা পূরণে যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যায়নি। এ কারণে ৩৩৮টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য ৩৬তম বিসিএস থেকে মেধাক্রমে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি জানান, পিএসসি’র দাবি অনুযায়ী ৩৬তম বিসিএসে ২ হাজার ১৮০টি শূন্য পদের মধ্যে কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারের জন্য ১ হাজার ৬৩৮টি পদ আছে। এসব পদের মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৪৯১টি, ১০ শতাংশ নারী কোটায় ১৬৪টি, ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটায় ৮২টি পদ নিয়ে মোট ৭৩৭টি পদের বেশিরভাগই খালি থাকবে এবং তা সংরক্ষণ করতে হবে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩৬তম বিসিএসে মুক্তিযোদ্ধা কোটার পদ সংরক্ষণ সংক্রান্ত সরকারের শর্ত শিথিল করলে ওইসব পদে নিয়োগ দেওয়া যাবে জানিয়ে এ বিষয়ে সরকারের অনুমোদন চায় পিএসসি।
৩৬তম বিসিএসের জন্য প্রাধিকার কোটার পদ সংরক্ষণের বিধান শিথিল করায় ওই বিসিএসের মেধাতালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীদের দিয়ে ওইসব পদ পূরণ করা হবে বলে জানান শফিউল আলম।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা যা ছিল তাই আছে, শুধু কোটা শিথিলের সিদ্ধান্ত দিয়েছে মন্ত্রিসভা, সংবিধানেও কোটার বিধান আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭
আরএম/আরআর/পিসি