বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে গরম। মাঠে ময়দানে, রাস্তা-ঘাটে ফাল্গুনেই যেন চৈত্রের দাবদাহ চোখে পড়ছে।
দুপুর ১২টার পর রাস্তা ঘাটে লোকজন কমে যাচ্ছে। রোদের তেজ প্রতিদিনই বাড়ছে। শহরের অনেকেই রাতে পাখা চালিয়ে ঘুমাচ্ছেন। করপোরেট অফিসগুলোতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র পুরোদমে সচল হয়েছে।
শেষ রাতে গ্রামে এখনও শীত রয়ে গেছে। তবে সেখানেও দিনের বেলা বেশ উষ্ণ থাকছে। ভ্যাপসা এ গরমে বৃষ্টির আশা করছেন অনেকে। বিশেষ করে কৃষকদের প্রার্থনা, বৃষ্টি নামুক।
তাদের সে প্রত্যাশা সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে পূরণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
নগরীর শান্তি ধাম এলাকার বেসরকারি হাসপাতালের কর্মকর্তা নিয়ামুল বারী হোজাইফা বাংলানিউজকে বলেন, ‘ফাল্গুনের ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ট হতে হচ্ছে। এখনই ফ্যান, এসি চলছে পুরোদমে। সামনে তো আরও গরম রয়েছে। জানি না, তখন কি করবো?’চিকিৎসকেরা জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কিছু কিছু জীবাণু সক্রিয় হয়ে থাকে। হঠাৎ করে গরম শুরু হওয়ায় তাই বাড়ছে নানা রোগ-ব্যাধিও। সব বয়সীর সর্দি, কাশি, জ্বর বাড়লেও এসব উপসর্গে শিশুরা একটু বেশি ভুগছে। ডায়রিয়া হওয়ারও খবর পাওয়া যাচ্ছে। বৃষ্টি নেই বলে বাতাসে ধুলার পরিমাণ বেড়েছে। ধুলা-বালিতে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট।
মাঘের পর ফাল্গুনে কিছুটা তাপমাত্রা বাড়লেও এতোটা গরম অনুভূত হয় না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি হওয়ায় এমনটা হচ্ছে বলে জানান খুলনা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আকাশে মেঘের আনা-গোনার কারণে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। সাগর থেকে মেঘ ভেসে এসেছে। খুলনা বিভাগে সোমবার রাতে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বৃষ্টি হলে এ ভ্যাপসা গরম কমে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭
এমআরএম/এএটি/এএসআর