তবে, সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভাকে এ আইনের বাইরে রাখার পাশাপাশি পশু চিকিৎসকের পরামর্শে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে বয়স্কও অসুস্থ প্রাণী হত্যার বিধান রাখা হয়েছে।
একইসঙ্গে বাণিজ্যিক উদ্দেশে বন্যপ্রাণীর প্রজনন, পালন ও খামার স্থাপনের জন্য সরকারি লাইসেন্স নেওয়ারও বিধান রয়েছে নতুন আইনে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম সোমবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের ১৩৬ ও নতুন বছরের ষষ্ঠ বৈঠকে এ আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
তিনি বলেন, আগের আইনের চেয়ে নতুন আইনে প্রাণী হত্যা ও নির্যাতনের বিষয়ে কঠোরতা প্রদর্শন করা হয়েছে। এই খসড়ায় প্রাণীর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, মানুষ ব্যতীত সব মেরুদণ্ডি প্রাণী’কে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, প্রাণীর প্রতি অপ্রোয়জনীয় ক্লেস-শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কোনো ব্যক্তি কোনো প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ, অতিরিক্ত পরিশ্রম ও অত্যাচার করলে তিনি শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কেবল মাত্র জলাতঙ্ক রোগ ও অন্যান্য রোগবাহী প্রাণী হত্যার জন্য সব সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাকে এ আইনের বাইরে রাখা হয়েছে। আবার পোষা প্রাণী বাণিজ্যিকভাবে প্রজনন, লালন পালন ও খামার স্থাপনের জন্য সরকারের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হবে।
এছাড়া কোনো প্রাণীর অঙ্গহানি করলে বা বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করা হলে সেক্ষেত্রে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের প্রধান ও পুলিশের এসআই’র নিচেয় নয়, এমন সবাই এসব অপরাধের অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে বলেও জানান তিনি।
প্রাণী নির্যাতনের জন্য অনধিক ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড এবং অঙ্গহানি বা বিষ প্রয়োগের জন্য দুই বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭
আরএম/পিসি