সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা থেকে সাড়ে ১০ পর্যন্ত এ বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো ঘটে।
আহত পাঁচজন হলেন- লালবাগের আবদুল বারেক (৪২), তার স্ত্রী রোবসানা বেগম (৩৭) ও তাদের সন্তান আবির হোসেন (১৭), মিরপুর দারুসসালামের শফিকুল ইসলাম(২৫) ও পল্লবীর মো. মঞ্জু (৩০)।
আহতদের মধ্যে বারেক অভিযোগ করেন, রাত ৯টার দিকে লালবাগের শহীদ নগর ২ নং গলিতে তার টিনশেড বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট করেছেন স্থানীয় সন্ত্রাসী ওয়াসিম মালেক ও মোস্তফাসহ তাদের ১৫-১৬ জন সহযোগী। এরপর হামলাকারীরা বাসায় ঢুকে ভাঙচুর করে আলমারিতে থাকা নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
বারেক বলেন, আমি শহীদ নগরে স্থানীয় বাসিন্দা। সম্প্রতি দোতলা একটি বাড়ি নির্মাণের কাজ ধরেছি। ওই সন্ত্রাসীরা আমার কাছে এজন্য চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় তারা আমার বাসায় হামলা চালায়। আমার স্ত্রী ও সন্তানকে মারধর করে বাড়ী নির্মাণের নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
অন্যদিকে শফিকুল জানান, দারুসসালামের লালকুঠি এলাকায় ডিশলাইনের তার কাটাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় রুমি, আশারাফুল ও মুরাদসহ ৪-৫ জন যুবক তাকে কুপিয়ে আহত করেছেন। শফিকুলে মাথায়সহ শরীরের দু’এক স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত আছে।
আর মিরপুর ১২ পল্লবী আধুনিক হাসপাতালের সামনে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন মঞ্জু। তাকে উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে আসেন পথচারী জাকির হোসেন।
জাকির জানান, মঞ্জু পল্লবী এলাকায় থাকেন। বাসায় ফেরার সময় দু’জন ছিনতাইকারী মঞ্জুর বুকে ছুরিকাঘাত করে তার পকেটে থাকা কিছু টাকা ও মোবাইল নিয়ে যায়।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া জানান, লালবাগের ঘটনায় আহতরা গুরুতর আঘাত পাননি। বাকি দু’জন ঢামেকে চিকিৎসাধীন এখনও।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৭
এজেডএস/এইচএ/