মহান একুশের প্রথম প্রহরে মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসা সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ এটাই বললেন।
রাত ৩টার দিকে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, অনেকে বাংলা-ইংরেজি মিশিয়ে স্টাইল করে জগাখিচুড়ি মার্কা কথা বলেন।
তিনি বলেন, যে ভাষার জন্য রক্ত দিতে হয়েছে সে ভাষার বিকৃত ব্যবহার মেনে নেওয়া যায় না। বাংলা ও ইংরেজি মিশিয়ে বলার প্রবণতা কমে এসেছে। কিন্তু এটি পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। বিশেষ করে এফএম রেডিওগুলোতে।
বেসরকারি চাকরিজীবী আব্দুল কাদের বাংলানিউজকে বলেন, সবারই উচিত ভাষার শুদ্ধ উচ্চারণ জেনে নেওয়া। এর সঠিক ব্যবহার শেখা। ভাষার শুদ্ধ ব্যবহার একজন ব্যক্তির মানসিক ও সামাজিক অবস্থানকে শক্তিশালী করে। সম্মান বৃদ্ধি করে।
রাজধানীর ধোলাইখালের বাসিন্দা রিপন হায়দার বলেন, ভাষার বিকৃত উপস্থাপন বন্ধ করতে হবে। কেউ যদি আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করে সেক্ষেত্রে সঠিকভাবে ব্যবহার করা উচিত।
নাটক, সিনেমায় বাংলা ভাষাকে বিকৃত উপস্থাপন করা হয়ে থাকে জানিয়ে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আরাফাত বলেন, মিডিয়ায় অনেক সময় শুদ্ধ উচ্চারণ করা হয় না। এগুলো সাধারণ মানুষের জীবনে বেশি প্রভাব ফেলে। তাই কঠোরভাবে বিকৃত এসব উচ্চারণ বন্ধ করতে হবে।
নাটক-সিনেমার ক্ষেত্রে সেন্সর বোর্ডকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে বলেও মনে করেন আরাফাত।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৭
এমইউএম/এমআইএইচ/এইচএ/