সম্প্রতি মালয়েশিয়ান পুলিশ রানাকে গ্রেফতার করে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় ডিপোর্ট (নির্বাসিত) করে।
জানা যায়, তার (রানা) ডিপোর্টের সংবাদ পেয়ে সকাল থেকেই বিমানবন্দরে ওৎ পেতে থাকে কাউন্টার টেরোরিজম (সিটি) ইউনিটের সদস্যরা।
সিটি প্রধান মনিরুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, রাজীব হায়দার হত্যাকাণ্ডে এর আগে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা সবাই রানার কথাই বলেছে। এছাড়া ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন হত্যা চেষ্টা এবং মিরপুরের স্কুল শিক্ষক হত্যা পরিকল্পনার ঘটনায়ও তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
রানা ২০১৪ সালে মালয়েশিয়া গিয়ে সেখানে গিয়ে আইএসের মতাদর্শ গ্রহণ করে বলে জানান মনিরুল।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে রানা মালয়েশিয়ায় পলাতক থাকা অবস্থায় কীভাবে দেশের বাইরে গেলেন জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, রানার বাড়ি ফেনী। কিন্তু সে গাজীপুরের ভুয়া ঠিকানা এবং নাম বদলে পাসপোর্ট করে স্টুডেন্ট ভিসায় মালয়েশিয়া যায়।
কীভাবে সে এ পাসপোর্ট তৈরি করলো সে বিষয়ে মনিরুল বলেন, পুলিশ কিংবা পাসপোর্ট অফিসের কারো যোগসাজশ আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মঙ্গলবার বিশেষ আদালতে তুলে রিমান্ডে এনে রানাকে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর ব্লগার রাজীব হত্যা মামলায় রায় ঘোষণা করা হয়। এতে দু’জনকে মৃত্যুদণ্ড, একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন আদালত। ওই হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই রানার সংশ্লিষ্টতার কথা শোনা যায়।
২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাসায় ফেরার পথে রাজধানীর পল্লবীর কালশীর পলাশনগরে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন রাজীব হায়দার শোভন।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৭
আরএটি/জেডএস