একুশের প্রথম প্রহরে রাজশাহীর বিভিন্ন শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। সকাল হতেই ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে শহীদ বেদী।
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।
সকালে ছিল রাজশাহী কলেজের শহীদ মিনার অভিমুখে প্রভাতফেরি। মহানগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, সংস্থা ও সর্বস্তরের জনগণ প্রভাতফেরিতে অংশ নেন।
মহানগরীর সড়ক দ্বীপ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান বাংলা বর্ণমালা সংবলিত ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ইসলামী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মহানগরীর হেতেম খাঁ মসজিদে ভাষা শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বাদ জোহর কোরানখানি ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।
সকাল থেকে রাজশাহী শিশু একাডেমিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের চিত্রাঙ্কন, বাংলায় সুন্দর হাতের লেখা, ভাষার গান, দেশাত্মবোধক গান ও রচনা লিখন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
শিল্পকলা একাডেমিতে বিকেলে রয়েছে ভাষা সৈনিকদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়া সন্ধ্যায় গণযোগাযোগ অধিদফতরের উদ্যোগে মহানগরীর আলুপট্টি বঙ্গবন্ধু চত্বর, সাহেব বাজার ও লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভ্রাম্যমাণ চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, দিবসটি কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি ৠাব সদস্যরাও টহল দিচ্ছেন।
এছাড়া গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সাদা পোশাকে কর্তব্যপালন করছেন। নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রয়েছে রাজশাহী কলেজ শহীদ মিনার, ভুবন মোহন শহীদ মিনার ও কোর্ট শহীদ মিনার এলাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৭
এসএস/আরআর/জেডএস