মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে নাজিরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন-উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের ফারুক বয়াতির ছেলে রুপচান (১৬), নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মমিন মোল্লার ছেলে শিমুল মোল্লা (৩০) ও একই এলাকার ইসহাক শেখের ছেলে মাসুম শেখ (৩০)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের ওই কিশোরী (১৫) গত ১৮ জানুয়ারি সকালে পার্শ্ববর্তী আমতলা গ্রামের হিমু খানের বাড়ির শিশুদের কোরআন শরীফ পড়ানোর জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। এসময় সে স্থানীয় হাজরা বাড়ির কাছের ফাঁকা রাস্তায় পৌঁছালে রুপচান, শিমুল ও মাসুম শেখ কিশোরীকে হত্যার হুমকি দিয়ে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়।
পরে কিশোরীকে নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে ২১ জানুয়ারি মাসুম শেখ তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে করে। এরপর দীর্ঘ এক মাস কিশোরীকে একটি ঘরে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন চালায়।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে কিশোরী গোপনে তার বাবার কাছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিষয়টি জানায়। পরে কিশোরীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার পুলিশ অভিযান চালিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে।
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এ ব্যাপারে কিশোরীর বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া মামলার প্রধান আসামি মাসুম শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৭
এজি/আরএ