তিনি বলেন, 'মাস্টারমাইন্ড এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে' একথা বলার সুযোগটা হাতছাড়া হয়ে গেল বলে আফসোস?
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ সমালোচনা করেন মনিরুল ইসলাম।
ফেসবুকে তিনি লিখেন, 'কোন সাক্ষী ব্লগার রাজীব হত্যার মাস্টারমাইন্ড রেদোয়ানুল আজাদ রানাকে চিনিয়ে দেয়নি, কোন অনুসন্ধানী সংবাদ প্রতিবেদন কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের স্ট্যাটাস বা কমেন্ট ও তাকে সনাক্ত করার ক্ষেত্রে কোনরকম ভূমিকা রাখেনি! গোয়েন্দা পুলিশ ০ (শূন্য) থেকে তদন্ত শুরু করে দুইমাস পরে খুনীদের চিন্হিত করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়! খুনীদের জিজ্ঞাসাবাদে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে রানার নাম বেরিয়ে আসে! শুধুমাত্র 'রানা' নাম এবং শারীরিক বর্ণনা থেকে রানার প্রকৃত পরিচয় উদ্ঘাটন করতে গোয়েন্দা কয়েকমাস লেগে যায়! তার প্রকৃত পরিচয় উদ্ঘাটনের পূর্বেই রানা মালয়েশিয়ায় পালিয়ে যায় যা গোয়েন্দারা নিশ্চিত হওয়ার পর মালয়েশিয়ান গোয়েন্দা সংস্থা এবং পুলিশকে তার ছবিসহ প্রোফাইল পাঠায় ২০১৪ খ্রীষ্টাব্দে! শুধু অনুরোধ পাঠিয়ে বসে না থেকে বারংবার অনুরোধ অব্যাহত রাখে বাংলাদেশের গোয়েন্দারা! ফল পেতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়! মালয়েশিয়ান গোয়েন্দারা বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রানাকে সনাক্তপূর্বক ধরে বাংলাদেশ মুখী ফ্লাইটে তুলে দেয় ফলে ঢাকায় তাকে গ্রেফতার না করে হেফাজতে নেওয়ার সুযোগ আছে কি? যারা ভূয়া ঠিকানায় পাসপোর্ট তৈরীতে সহায়তা করেছে তাদের খুঁজে বের করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে! কিন্তু তদন্ত করে রানাকে সনাক্ত এবং দেরীতে হলেও ফিরে পাওয়া গেছে এরজন্য কি কোন কৃতিত্বই আমাদের নাই? পুরো বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তোলাটি কি খুব যৌক্তিক? নাকি 'মাস্টারমাইন্ড এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে' একথা বলার সুযোগটা হাতছাড়া হয়ে গেল বলে আফসোস?'
সোমবার রাজধানীর উত্তরা থেকে রেদোয়ানুল আজাদ রানাকে এক সঙ্গীসহ গ্রেফতার করেছে সিটিটিসি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৭
পিএম/ওএইচ/পিসি