ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

উদ্বোধনের অপেক্ষা

শাজাহানপুর নতুন থানা ভবনে ঘুচবে দুর্ভোগ

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭
শাজাহানপুর নতুন থানা ভবনে ঘুচবে দুর্ভোগ উদ্বোধনের অপেক্ষায় শাজাহানপুর নতুন থানা ভবন-ছবি- আরিফ জাহান

শাজাহানপুর (বগুড়া) ঘুরে: একদিনের সফরে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি (রোববার) বগুড়া যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থাপনার ভিত্তিপ্রস্তর কাজের উদ্বোধন করবেন তিনি। এরপর নির্ধারিত জনসভায় ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে।  
 
 

প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের তালিকায় রয়েছে শাজাহানপুর থানা ভবনের নাম। প্রায় ৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক বহুতল এ থানা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।

 
 
পনের বছর আগে শাজাহানপুর উপজেলা গঠনের পর একটি জীর্ণশীর্ণ ভাড়া বাসায় চলছে পুলিশের কার্যক্রম। উদ্বোধনের পর ভাড়া বাসা ছেড়ে নবনির্মিত নিজস্ব ভবনে যাবে থানা। সেই ভবন থেকে চলবে পুলিশের পরবর্তী কার্যক্রম। ইতি ঘটবে টানা পনের বছরের দুর্ভোগের।     
 
ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক লাগোয়া পশ্চিমপাশে সেই ভাড়া বাসার অবস্থান। ঠিক কিছুটা উত্তরে এক একর জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে বহুতল নতুন এ থানা ভবন। পুরনো ভাড়া ও নতুন ভবনের প্রায় মাঝখানে অবস্থান অত্যাধুনিক উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন।
 
সরেজমিনে দেখা যায়, উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা নতুন থানা ভবনের শেষ মুহূর্তের কাজে ব্যস্ত শ্রমিকরা। কেউ ইটের খোয়ায় পানি মারছেন। কেউ রড কেটে সেগুলো থানা চত্বরে বিছিয়ে দিচ্ছেন। কেউবা ইট-বালু বিছানোর কাজে মগ্ন। এভাবে থানা চত্বর এলাকায় ঢালাইয়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদারের নিযুক্ত শ্রমিকরা। এছাড়া নির্ধারিত দিনের আগেই ছোটখাটো অবশিষ্ট কাজগুলো শেষ করতে দিনরাত এক করে শ্রমিকদের কাজ করতে দেখা যায়। শাজাহানপুর নতুন থানা ভবন-ছবি- আরিফ জাহান  
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালে বগুড়া সদর উপজেলার দক্ষিণের ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয় শাজাহানপুর উপজেলা। একই বছরের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠিত হয় শাজাহানপুর থানা। উপজেলা পরিষদের দক্ষিণপাশ ঘেঁষে একটি ভাড়া বাসায় শুরু হয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম।  
 
কিন্তু নিজস্ব ভবন না থাকায় নানামুখি ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে। অস্ত্রাগার নিয়ে ভয়ের শেষ নেই। স্থান সংকটে চেয়ার-টেবিল রাখা যায় না। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রাখার পরিবেশ নেই। পুরুষ সদস্যদের ছোট ব্যারাকে থাকতে হয় ঠাসাঠাসি করে। নারী সদস্যরা থাকেন আলাদা বাসা ভাড়া নিয়ে।  
 
আর বর্ষাকালে মানেই থানার জন্য ছিলো অনেকটা  ‘মরণকাল’। পনের বছরের মাথায় বহুতল নতুন ভবন নির্মাণের মধ্য দিয়ে সীমাহীন এসব দুর্ভোগের সমাপ্তি ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেন শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাছউদ চৌধুরী। শাজাহানপুর পুরনো থানা ভবন-ছবি- আরিফ জাহান 
তিনি বাংলানিউজকে জানান, পুলিশের পাশাপাশি থানায় সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষের ভোগান্তি থাকবে না। তাদের কাজের গতিও বেড়ে যাবে কয়েকগুণ।  
 
মেসার্স মাসুমা নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বহুতল এ থানা ভবন নির্মাণের কাজ করছে। ভবনে থাকছে পুলিশ অফিস, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), অন্যান্য কর্মকর্তা, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও বেতার কক্ষ। নারী-পুরুষ সদস্যদের জন্য থাকছে আলাদা ব্যারাক। থাকছে চারটি হাজতখানা। এখানে নারী-পুরুষ, কিশোর-কিশোরী হাজতিরা থাকবেন। নামাজ ঘর, ফার্স্ট এইড কক্ষের সুবিধা থাকবে।
 
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় থাকছে থানা ক্যাম্পাসে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও উপ-পরিদর্শকদের (এসআই) জন্য পৃথক আবাসিক ভবন নির্মাণ। সবমিলিয়ে নবনির্মিত এ ভবনে নানাবিধ সুযোগ-সুবিধার সমন্বয় ঘটানো হয়েছে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭
এমবিএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।