বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কারা অধিদপ্তরে কারা সপ্তাহ-২০১৭ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
ইফতেখার উদ্দীন বলেন, গত ১০ এপ্রিল কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার উদ্বোধনের সময় বন্দিদের ফোনে কথা বলার সুযোগ চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আগামী বৈঠকে এর চূড়ান্ত অনুমোদনের পর আমরা এই প্রকল্পটি চালু করবো। আশা করছি আগামী ১ মাসের মধ্যেই এটি কার্যকর হবে।
দূর্ধর্ষ জঙ্গি বা শীর্ষ সন্ত্রাসীরা মোবাইল ফোনে যোগাযোগের সুযোগ পেলে কোনো ঝুঁকি রয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কাছে নিরাপত্তার বিষয়টা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। জঙ্গি বা শীর্ষ সন্ত্রাসীরা এ সুযোগ পাবে না। শুধুমাত্র সাধারণ বন্দিদের এর আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, যখন একজন আসামি কারাগারে আসবে তখন তার বিস্তারিত নথিপত্র তৈরির সময় নির্দিষ্ট দুটি ফোন নম্বর উল্লেখ থাকবে। যা শুধু বাবা-মা, স্ত্রী বা সন্তানদের হতে হবে। পাশাপাশি ফোনে কথা বলার সময় গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন উপস্থিত থাকবেন। নিরপত্তায় বিঘ্ন ঘটে এমন কোনো কাজ যেন তারা না করতে পারে।
কারাগারে একটি অসাধু চক্র ফোনে কথা বলিয়ে অবৈধভাবে টাকা উপার্যন করছে বিষয়টি স্বীকার করে কারা মহাপরিদর্শক আরো বলেন, উন্নত দেশগুলোতেও কারাগারে মোবাইল ও ড্রাগ প্রবেশ ঠেকানো যায়না। সে তুলনায় আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে কাজ করতে হয়। তবে বন্দিদের মোবাইলে কথা বলার সুযোগ তৈরি হলে ওই চক্রটি ভেতরে মোবাইলফোনে কথা বলিয়ে অবৈধ অর্থ উপার্যন করতে পারবে না। এতে নিরাপত্তারও কোনো বিঘ্ন ঘটবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭/আপডেট ১৪০৫
পিএম/বিএস