এভাবেই প্রতিদিন সাধারণ ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন ফেনী শহরের মাংস ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এমন প্রতারণা করতে গিয়ে ফেনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানার কাছে হাতে নাতে ধরা পড়েছেন শহরের সুলতান মাহমুদ হকার্স মার্কেটের শহীদুল ইসলাম নামে এক মাংস বিক্রেতা।
তিনি যে শুধু ওজনে কম দিচ্ছেন তা নয়- দেখা গেলো আরো নানা অনিয়ম, মাংসের দোকানে নেই কোনো মূল্য তালিকা, নেই পৌরসভা বা ভেটেরেনারি সার্জনের সিল ও সনদ। শহরের প্রায় সবগুলো দোকানের চিত্র একই রকম। এ সব প্রতারণা বন্ধে ও মাংস বিক্রিতে শৃঙ্খলা আনতে দুপুরে শহরের দু’টি বড় মাংসের বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা।
এ সময় সুলতান মাহমুদ হকার্স মার্কেটের আবদুল কাশেম মাংসের দোকানের শহীদুলকে ২০ হাজার টাকা এবং মিন্টু মিয়ার দোকানের একরাম হোসেনকে ওজনে কারচুপির অপরাধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে, শহরের বড় বাজারে মাংস ক্রেতা বেশে গেলে দেখা যায়, পাঠীর মাংসের নাম প্রথমে বলা হলো খাসির মাংস। এ সময় ব্যবসায়ীদের মূল্য তালিকা, পশু জবাই ও বিক্রির আইন ও নিয়মনীতি মেনে চলার জন্য বলেন ম্যাজিস্ট্রেট। এ অভিযানে আরো বিএস টি আই পরিদর্শক শাফায়েত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা বাংলানিউজকে বলেন, মাংসের দোকানগুলোতে দামের কোনো ঠিক নাই। পাওয়া যাচ্ছে না মানসম্মত মাংসও। এমনকি ওজনে করা হচ্ছে ভয়াবহ কারচুপি। ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণে ও এ ধরণের প্রতারণা বন্ধে অভিযান অব্যাহত রাখবে জেলা প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭
এসআই