আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, রাজশাহীতে ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সেই হিসেবে এটি চলতি মৌসুমের প্রথম ভারী বর্ষণ।
বৃষ্টি শুরুর আগে থেকেই রাজশাহী মহানগরীর বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহানগরীর অধিকাংশ এলাকাই ছিল বিদ্যুৎহীন। বৃষ্টির পর বিভিন্ন সড়ক জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। সড়কে স্বাভাবিক যানবাহন চলাচলও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এর আগে সকাল থেকেই সূর্য ও মেঘের লুকোচুরি চলছিলো। বিকেল ৫টা গড়াতেই আকাশে কালো মেঘ জমতে থাকে। একপর্যায়ে ৫টা ২৫ মিনিট থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। তবে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া না থাকায় আমের মুকুল ও গুটির তেমন ক্ষতি হয়নি।
রাজশাহীর আবহাওয়া অধিদফতরের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাজিব খান বাংলানিউজকে জানান, রাজশাহীতে সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বেলা ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি বলেন, শনিবার (১১ মার্চ) পর্যন্ত রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়ে কাল বৈশাখী ঝড় বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। রাজশাহী, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে এ কাল বৈশাখী বয়ে যেতে পারে। এ সময় দমকা হাওয়া, বজ্রসহ বৃষ্টিপাত এবং ব্যাপক শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
শুক্রবার ভারী বর্ষণ হলেও শিলাবৃষ্টি বা ঝড়ো হাওয়া হয়নি। কিন্তু শনিবার পার না হওয়া পর্যন্ত আবহাওয়া পরিস্থিতি উন্নতির সম্ভাবনা নেই বলে জানান আবহাওয়া কর্মকর্তা রাজিব খান।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক দেব দুলাল ঢালী বাংলানিউজকে বলেন, ভারী বর্ষণ হলেও শিলাবৃষ্টি বা ঝড়ো হাওয়া ছিল না। ফলে আমগাছের মুকুল ও গুটির তেমন ক্ষতি হয়নি।
বৃষ্টির আগ থেকে নগরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকা প্রশ্নে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় তথ্য কর্মকর্তা আবদুল মোত্তালিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু এ বিষয় তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৭
এসএস/টিআই