শুক্রবার (মার্চ ১০) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচার থিয়েটার ভবনের আরসি মজুমদার অডিটরিয়ামে আইডিএমবিএস আয়োজিত জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবসের অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
‘দুর্যোগের প্রস্তুতি সারাক্ষণ, আনবে টেকসই উন্নয়ন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, দেশের দুর্যোগ সব সময় থাকবেই।
তার কথার সূত্র ধরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহমেদ বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল। বিষয়টি বিবেচনা করেই এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা এরই মধ্যে চমৎকার চমৎকার প্রস্তাবনা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেখুন বজ্রপাতে গত ১০ বছরের কত জন মানুষ মারা গেছে, এর সঠিক তথ্য নেই। আমরা যদি পত্রিকা অফিসে যাই সেখানে এক ধরনের তথ্য, মন্ত্রণালয়ে এক এবং পরিসংখ্যান ব্যুরো এক ধরনের তথ্য দেবে। তবে সঠিক তথ্য কারও কাছে পাওয়া যাবে না। শুধু বজ্রপাত কিংবা সাইক্লোন না দুর্যোগের সব বিষয়ে প্রস্তুতির জন্য দরকার গবেষণা।
মো. রিয়াজ আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীরাই পারে গবেষণা করে নতুন পদ্ধতি বের করতে। বিদেশে গবেষণা প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চোখে আঙুল দিয়ে সমস্যা ও সমাধানের কথা দেখিয়ে দেয়। আমরা চাই সেই রকম প্রস্তাব।
আইডিএমবিএসের বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. দিলারা জাহিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন।
এরপর দুর্যোগ অধিদপ্তরের ডিজি বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটির উদ্বোধন করেন। এতে ডিপ্লোমা ও মাস্টাস কোর্সের ২৭ শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। ৯টি ব্যাচের ৬টি ব্যাচ এখন পর্যন্ত তাদের ফলাফল নিয়ে বের হয়েছে। আর বাকি তিনটি বিভাগের পরীক্ষা ও ফল বাকি রয়েছে।
হেলথ অ্যান্ড ফিজিওথেরাপি ক্যাম্প
অনুষ্ঠানের আগের জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলায় ‘সুস্থতা বজায় রাখুন দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকুন’ এই বিষয়ে সচেতনতার জন্য ‘হেলথ অ্যান্ড ফিজিওথেরাপি ক্যাম্প’ করা হয়। ক্যাম্প বেলা সাড়ে ৩টায় শুরু হয়ে শেষ হয় ৫টায়। ডাক্তার, ফিজিও এবং নার্সসহ মোট ৭ জনের টিমের সব মিলে ৬০ জনকে চিকিৎসা দেয়।
টিমে ডাক্তার ছিলেন ডা. নীলিমা আক্তার ও তানভীরা গাফফার, ফিজিও স্পেলালিস্ট ছিলেন, জান্নাতুল ফেরদৌসি, ফাতেহাতুজ জোহরা, তানজিনা কবীর, মো. বায়জীদ মিয়া এবং বৃষ্টি আখতার।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৭
এমএফআই/আরআইএস/এমজেএফ