কর্মব্যস্ত জীবনের দাঁড়ি টেনে ঘরে ফেরার সময়ে ঘণ্টা দেড়েকের বৃষ্টির হানায় ছন্দপতন ঘটলো নাগরিক জীবনে।
হঠাৎ করেই যানশূন্য হয়ে গেলো নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক।
ফলে পদে পদে নিদারুণ দুর্ভোগ সঙ্গী করেই কাকভেজা হয়ে তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা করতে হলো তিন চাকার এ বাহনের জন্য।
ফাগুনের অচেনা বৃষ্টি থামার পর দু’একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা যখন নগরীর বিভিন্ন মোড়ে ভিড়ছে ঠিক তখনই পঙ্গপালের মতো ঘিরে ধরছে যাত্রীরা।
হুড়োহুড়ি করে একেকজন যাত্রী উঠে বসছেন। এমন দুর্ভোগ সত্ত্বেও নগরীতে জলাবদ্ধতা না থাকায় স্বস্তির শ্বাস ফেলেন ঘর ফেরত মানুষ।
শুক্রবার (১০ মার্চ) রাত পৌনে ৯টা থেকে রাত সোয়া ১০টা পর্যন্ত নগরীর গাঙ্গিরনারপাড়, নতুন বাজার, জিলা স্কুল মোড়সহ বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে নগরীরবাসীর ঘরে ফেরার এমন প্রাণান্তকর প্রচেষ্টার দৃশ্য চোখে পড়ে।
দেখা গেছে, ফাগুনে বৃষ্টির বিষয়টি মাথায় রেখেই অনেকেই প্রস্তুতি নিয়ে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। বৃষ্টি মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ ছাতা ছিল ভাগ্যবানদের সঙ্গী।
অনেক মোটরসাইকেল চালককে দেখা গেলো ঘাড় আর কাঁধের মাঝখানে ছাতা নিয়ে গন্তব্যে ছুটছেন।
যানের জন্য হাহাকার নগরীতে অনেক রিকশা চালক মাথা আর সারা শরীর প্লাস্টিকের কাগজে মুড়িয়ে রিকশা নিয়ে নেমে পড়লেন।
মধ্যরাতেও থেমে থেমে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় সারা রাতের উপার্জনের টাকা দিয়ে বাজার-সদাই করে পরদিন বাড়ি ফিরবেন তারা।
আরো দেখা গেলো, বৃষ্টিতে নিজেদের মাথা বাঁচানোর চেষ্টায় অনেকেই তিন চাকার যানের অপেক্ষায় ছিলেন। আর তারাই আশ্রয় নেন সড়কের বন্ধ দোকান-পাটের নিচে।
শেষতক অন্তহীন বিড়ম্বনা মাথায় নিয়েই বাড়ি ফিরতে হলো অপ্রস্তুত নাগরিকদের।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৭
এমএএএম/জেডএস