এ উৎসবকে ঘিরে শনিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে বাউল সাধুদের সাধন ভজন। এছাড়া এখন ভক্তদের পদচারণায় মুখর আঁখড়াবাড়ী, বসেছে লালন মেলা।
সাঁইজির জীবদ্দশায় পালিত এই রীতি অনুযায়ী, শনিবার সন্ধ্যায় অধিবাসের মধ্যদিয়ে ২৪ ঘণ্টার দোলসঙ্গের শুরু হবে। দেশ-বিদেশ থেকে দোলসঙ্গে আগত ভক্ত বাউল সাধকরা চৈত্রের পূর্ণিমা রাতে জ্যোছনা ছটা আর মাতাল হাওয়ায় আচার-অনুষ্ঠানে গানে গানে হারিয়ে যান ভিন্ন কোনো জগতে। এরপর রাতভর চলবে নানা আচার অনুষ্ঠান।
ছোট ছোট মজমায় চলবে গুরু-শিষ্যের ভাবের আদান-প্রদান আর তত্ত্ব আলোচনা।
লালন মাজারের খাদেম মহম্মদ শাহ জানান, বাউল সাধক ফকির লালন শাহ’র জীবদ্দশায় দোলপূর্ণিমা উপলক্ষে পালন করা হতো এই দোল উৎসব। আর দোলপূর্ণিমাকে ঘিরেই বসতো সাধুসংঘ। সেই ধারাবাহিকতা রক্ষায় লালন একাডেমিও প্রতি বছর এ উৎসব পালন করে আসছে। দোলপূর্ণিমার এই রাতটির জন্য সারাবছর অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন বাউল ভক্তরা।
লালন স্মরণোৎসব এবং মেলাকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার এস এম মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে জানান, লালন স্মরণোৎসবকে ঘিরে লালন মেলা ও লালন মাজার প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে কাজ করছে গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরাও।
শনিবার সন্ধ্যায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে লালন একাডেমির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক জহির রায়হান সভাপতিত্ব করবেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ ফারুক হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৭ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৭
এসআই