শনিবার (১১ মার্চ) রাজধানীর সিরডাপে সকাল সাড়ে ১০টায় ইআরএফ আয়োজিত ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে পাট খাতের সম্ভাবনা’ শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে আঁতাত করে দেশের পাট শিল্প ধ্বংস করে দিয়েছিল বিএনপি।
‘এই বাজারে আমরা কীভাবে নেতৃত্ব দেবো সেই বিষয়ে কাজ করবো। বীজ উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। বিজেএসমিকে ধীরে ধীরে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। আগামী পাঁচ বছরে পাট শিল্প বস্ত্র শিল্পের বরাবর হয়ে যাবে। পাট পণ্যের আন্তর্জাতিক মেলার আয়োজন করা হবে বাংলাদেশে। ’
তিনি আরও বলেন, বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বস্ত্র বিভাগের কোনো সম্পর্ক ছিলো না। ফলে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর আন্তর্জাতিক ক্রেতারা সরাসরি প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এরপর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে জানান, বস্ত্র খাত বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তারপর থেকে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। এরই অংশ হিসেবে আগামী সোমবার বস্ত্র আইন পাশ হবে।
সিপিডি’র অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বিগত কয়েক বছরের পরিসংখ্যানগুলো পর্যালোচনা করলে দেখবো, ছোট ও মাঝারি আকারের জুট মিলগুলো ভালো করছে। এসব মিলগুলোর দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। পাট খাতের সম্ভাবনা যথেষ্ট কিন্তু সেই ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহী করতে হবে। পোশাক শিল্পের মতো এই খাতেও সরকারের নগদ প্রণোদনা সহায়তা দেওয়া উচিত।
বহুমুখী পাট পণ্য উৎপাদনকারী সমিতির সভাপতি রাশেদুল করীম বলেন, পাট পণ্য এক সময় রফতানির মূল খাত ছিলো বাংলাদেশে। কিন্তু বিএনপি সরকারের অবহেলায় পাট শিল্পের অবনতি ঘটেছে। তৈরি হয়নি এ শিল্পে দক্ষ জনবল। নতুন উদ্যোক্তারা যখন এই খাতে আসেন তখন তারা কোনো নির্দিষ্ট নির্দেশনা পান না। টেকনিক্যাল জনবল আমরা পাই না। সরকারকে এসবের দিকে নজর দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
এসময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. মাহমুদুল হাসান খান, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোসলেহ উদ্দিন, পাট পণ্য রফতানিকারক রেজাউল করীম, ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলাল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৭
ইউএম/এসএনএস