ঢাকা, সোমবার, ২০ মাঘ ১৪৩১, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাব উত্থাপন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৭
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাব উত্থাপন

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস ঘোষণা সংক্রান্ত আলোচনা চলছে সংসদে। প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) একাংশের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার।

শনিবার (১১ মার্চ) বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে অধিবেশনের শুরুতেই স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী দিনের অন্যান্য কর্মসূচি স্থগিত রেখে কার্যপ্রণালী বিধি-১৪৭ বিধি অনুযায়ী প্রস্তাব সাধারণ উত্থাপনের আহ্বান করেন।

এরপর প্রস্তাবটি উত্থাপন করে আলোচনা করেন শিরীন আখতার।

তার প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আলোচনার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী সংসদের কয়েকটি প্রজেক্টরে ভিডিও ও স্থিরচিত্র দেখান।

প্রস্তাবে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যাকে স্মরণ করে ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস ঘোষণা করা হোক এবং আন্তর্জাতিকভাবে এ দিবসের স্বীকৃতি আদায়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেওয়া হোক।

প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনা শেষে সংসদ তা গ্রহণ করলে তা কার্যকরে আদেশ দেবে নির্বাহী বিভাগ।

আলোচনার সূত্রপাত করে শিরীন আখতার বলেন, বিশ্বে গণহত্যা দিবসের ইতিহাসে যে কোন দিনের চেয়ে ২৫ মার্চের গণহত্যা একটি দুঃসহ স্মরণীয় দিন।

২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনীর গণহত্যা ও তাণ্ডবের বর্ণনা দিয়ে শিরীন আখতার বলেন, জাতিসংঘ গণহত্যা দিবসের যে সংজ্ঞা দিয়েছে তার  পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বাস্তবায়ণ হয়েছে ২৫ মার্চের কালরাতে। বাঙালির শত্রুরা এই ইতিহাসকে বারবার ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছে।
 
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যাকে স্মরণ করে ২৫ মার্চকে গণহতত্যা দিবস ঘোষণা করা হোক এবং আন্তর্জাতিকভাবে এ দিবসের স্বীকৃতি আদায়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের ব্যবস্থা হোক।

এর আগে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ও গণবিচার আন্দোলন এবং ১৪ দলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দিবসটিকে গণহত্যা দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বলেও জানান শিরীন আখতার।

জাসদ নেত্রী আরও বলেন, মার্কিন সিনেটর অ্যাডওয়ার্ড কেনেডি ভারতের শরণার্থী শিবিরগুলো পরিদর্শন করেন ১৯৭১ সালে। তিনি পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে সরাসরি গণহত্যা চালাবর অভিযোগ করেন। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে বাংলাদেশের হত্যাযজ্ঞকে বিশ শতকের পাঁচটি ভয়ঙ্কর গণহত্যার অন্যতম বলে উল্লেখ করা হয়। ২০০২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিষয়ক আর্কাইভ তাদের অবমুক্তকৃত দলিল প্রকাশ করে। এতে বাংলাদেশের নারকীয়  হত্যাযজ্ঞকে সিলেকটিভ জেনোসাইড বা জেনোসাইড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

** সর্বকালের রেকর্ড বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অর্জিত

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৭/আপডেট: ১৬১০ ঘণ্টা
এসএম/এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।