ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মিজারুল কায়েসের মরদেহ গ্রহণ করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। মরহুমের সঙ্গে তার স্ত্রী ও সন্তানরাও দেশে ফিরেছেন।
এদিকে মিজারুল কায়েসের মরহদেহ বিমানবন্দর থেকে সোজা নিয়ে যাওয়া হয়েছে বনানী জি ব্লকের ৯ নম্বর রোডের ২৮ নম্বর বাড়িতে। এটি তার মায়ের বাড়ি। জানাজার আগ পযর্ন্ত এখানেই মরহুমের মরদেহ থাকবে। আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, শুভাকাঙ্ক্ষীরা বনানীর বাসায় গিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মিজারুল কায়েসের জানাজা সোমবার (২০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক এবং সাবেক ও বর্তমান রাষ্টদূতরা ছাড়াও তার সহকর্মীরা জানাজায় অংশ নেবেন।
এর পর দেশপ্রেমিক এই কূটনীতিকের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তার মরদেহ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে। এ সময় শ্রেণী-পেশা নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
একই দিনে বাদ আছর গুলশান আজাদ মসজিদে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে মিজারুল কায়েসের কফিন জন্মস্থান কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তার আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা চতুর্থ জানাজায় অংশ নেবেন।
কায়েসের প্রথম জানাজা ১৫ মার্চ ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় সম্পন্ন হয়েছে। ব্রাজিলে নিযুক্ত মুসলিম দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা ওই জানাজার আয়োজন করেন। এর আগে তাকে সামরিক মর্যাদায় সম্মান জানায় ব্রাজিল সরকার।
সাবেক সরকারি কর্মকর্তা মরহুম আবদুল হামিদের ছেলে মিজারুল কায়েস ১৯৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি পররাষ্ট্রসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। যুক্তরাজ্য ও রাশিয়ার হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশ-বিদেশে তিনি বিভিন্ন পর্যায়ে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে সুনাম অর্জন করেন। বনানী কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৭
কেজেড/এজেড/আরএ