রোববার (১৯ মার্চ) রাত ১০টায় খুলনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) নাজমুল আহসান তার ফেসবুক পেজে এ কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি অন্যদেরও একই পন্থা অবলম্বনের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, প্রিয় খুলনাবাসী ও ফেসবুক বন্ধুরা,
সবাইকে শুভেচ্ছা। বাংলা নতুন বছর ১৪২৪ শুরু হতে এখনো ২৫ দিন বাকি। আপনারা অবগত আছেন যে, এখন জাটকা'র মৌসুম চলছে। গত ১১ মার্চ/১৭ থেকে শুরু হওয়া "জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ" শেষ হলো গত পরশু অর্থাৎ ১৭ মার্চ/১৭। ফলে আসন্ন পহেলা বৈশাখকে উপলক্ষ করে এখন থেকেই নদীতে ব্যাপক হারে ইলিশ নিধন শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কেননা নববর্ষের অতিরিক্ত চাহিদা পূরণ ও অধিক লাভের আশায় অসাধু ব্যবসায়ীরা এখন থেকেই ইলিশ মাছ হিমাগারে মজুদ করার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনা করে এবং বৈশাখের ইলিশ নিধন নিরুৎসাহিত করতে আগামী ১৪২৪ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখের আয়োজনে ইলিশ মাছ না রাখার আগাম সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। তবে পহেলা বৈশাখের অন্য সব আয়োজন আগের মতই থাকবে।
সভায় উপস্থিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা তাদের স্ব স্ব উপজেলায় অনুরূপ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে বলে জানান। উল্লেখ্য, বিগত ১৪২৩ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখেও জেলা প্রশাসন, খুলনা'র আয়োজনে ইলিশ মাছ বাদ দেওয়া হয়েছিল।
‘‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ" উপলক্ষে গত ১৪ মার্চ/১৭ খুলনা মহানগরীর রূপসা মাছ বাজারে জেলা প্রশাসন খুলনা'র এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মো. মেহেদী মোর্শেদ এর নেতৃত্বে র্যাব ও মৎস্য বিভাগের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ১০ হাজার কেজি জাটকা জব্দ করে।
সবার জন্য শুভ কামনা রইল। জেলা প্রশাসক, খুলনা।
এদিকে, তার এ আহ্বানকে স্বাগত জানিয়ে অনেকেই ফেসবুকে মন্তব্য করেছেন।
খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান বাংলানিউজকে বলেন, আগে থেকেই প্রচারের উদ্দেশ্য হলো অন্যরা যাতে এই পন্থা অবলম্বন করতে পারেন। সবাই এ উদ্যোগ নিলে জাটকা ও মা-ইলিশ রক্ষা পাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২১ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৭
এমআরএম/আরএ