রোববার (১৯ মার্চ) রাত ৯টার দিকে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আলমডাঙ্গা থেকে ঢাকাগামী রয়েল এক্সপ্রেস পরিবহনটি চুয়াডাঙ্গা আসার সময় ঘোড়ামার ব্রিজের অদূরে ডাকাতির কবলে পড়ে।
ডাকাতির কবলে পড়া মাইক্রোবাসের যাত্রী সুভাষ চ্যাটার্জি জানায়, কুষ্টিয়া থেকে ফেরার পথে ডাকাতের কবলে পড়েন তারা। এসময় গাড়িতে থাকা তার স্ত্রী, বোন, মাসহ তাদের শরীরে থাকা স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা লুট করে ডাকাতরা।
রয়েল এক্সপ্রেসের যাত্রী আমজাদ হোসেন জানান, সাত থেকে আটজন ডাকাত মুখবাধা অবস্থায় ডাকাতিতে অংশ নেয়। তাদের হাতে এসময় ধারালো অস্ত্র ছিল। ডাকাতরা হামলায় রয়েল পরিবহনের চালক শামীম হোসেন ও একটি ট্রাকের হেলপার আব্দুল হামিদসহ তিনজনকে পিটিয়ে আহত হয়েছে।
রয়েল পরিবহনের চালক শামীম হোসেন অভিযোগ করেন, প্রতিদিন ঘোড়ামার ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের একটি টহল গাড়ি থাকার কথা থাকলেও ডাকাতির সময় কোনো পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে ছিল না। আর এ কারণেই প্রায় আধাঘণ্টা ধরে ডাকাতরা নির্বিঘ্নে তাণ্ডব চালায়।
চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম ডাকাতির শিকার যানবাহনের সংখ্যা নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করে জানান, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৮ ঘণ্টা, ২০ মার্চ, ২০১৭
আরএ