ইসির জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, যেসব ভোটারের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ১৭ সংখ্যার, তারা মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে PC লিখে স্পেস দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের ১৭ সংখ্যার নম্বর লিখে ১০৫ নম্বরে পাঠাবেন। ফিরতি মেসেজে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে তার নামসহ ভোটকেন্দ্রের নাম, ভোটার নম্বর, ক্রমিক নম্বর জানিয়ে দেওয়া হবে।
যাদের এনআইডি নম্বর ১৩ সংখ্যার, তারা PC লিখে স্পেস দিয়ে ১৩ সংখ্যার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর লিখবেন, তবে ১৩ সংখ্যার আগে জন্ম সালটি জুড়ে দিয়ে ১৭ সংখ্যা বানাবেন। এরপর তা ১০৫ নম্বরে পাঠিয়ে দিলেই হবে।
কুসিক নির্বাচনে নতুন ভোটার হয়েছেন, কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র পাননি এমন ব্যক্তিরাও ভোট দিতে পারবেন। ভোটদানের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের কোনো প্রয়োজন নেই।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সর্বশেষ কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে সম্পূর্ণ ভোটগ্রহণ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে সম্পন্ন হয়েছিল। এবার ইভিএম ব্যবহার করছে না নির্বাচন কমিশন। এ নির্বাচনে ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। মোট ১০৩টি ভোটকেন্দ্রের ৬২৮টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, আওয়ামী লীগের আঞ্জুম সুলতানা সীমা, বিএনপির বর্তমান মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, জাসদ মনোনীত প্রার্থী শিরিন আক্তার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশিদ। এছাড়া কাউন্সিলর পদে ১৬৩ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও সাধারণ ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটলিয়ন আনসারের সমন্বয়ে ২২ জনের ফোর্স এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ২৪ জনের ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। আর পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটলিয়ন আনসারের সমন্বয়ে মোবাইল টিম ২৭টি, স্ট্রাইকিং ৯টি নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে থাকবে র্যাবের ২৭টি টিম ও ২৬ প্লাটুন বিজিবি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৭
ইইউডি/আইএ