মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় ফরিদপুর শহর ঘুরে এ দৃশ্য দেখা যায়।
বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে সরকারি রাজেন্দ্রকলেজ মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দিতে ফরিদপুরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে এখন আলোকোজ্জ্বল ফরিদপুর।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার ফরিদপুর শহরের বদরপুর রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বাড়ির সামনে থেকে শুরু করে পদ্মা নদীর পাড় টেপাখোলা পর্যন্ত এবং ভাঙ্গা রাস্তার মোড় থেকে মুন্সিবাজার পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। শহরের অলি-গলিতেও লেগেছে রঙিন আলোর ছোয়া। আলো ঝলমলে শহর দেখতে রাস্তায় নামতে দেখা গেছে উৎসুক শহরবাসীকে।
‘হে মহান অতিথি, আপনাকে স্বাগতম’ সহ বিভিন্ন সম্বোধনে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে শহরের রাস্তায় ৫০ থেকে ১০০ গজ পর পর নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। প্রতিটি তোরণের মাথায় শোভা পাচ্ছে বাঁশ-কাঠ-কাপড়ের নৌকা।
তোরণের ওপর বড় নৌকার পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন এলাকায় সারি সারি ছোট নৌকা বানিয়ে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। শহরের শ্রীঅঙ্গন ব্রিজের পাশেই বাঁশ-কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিশাল আকৃতির নৌকা।
শহরের বড় থেকে ছোট ছোট প্রতিটি রাস্তাও সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে।
জনসভাস্থল সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে নির্মাণ করা হয়েছে নৌকা আকৃতির বিশাল মঞ্চ।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ। গোটা শহরে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জনসভায় ব্যাপক শোডাউনের ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ফরিদপুর ছাড়াও রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুরসহ আশপাশের জেলা থেকেও নেতাকর্মীরা জনসভায় যোগ দেবেন।
জনসভাস্থল থেকে প্রধানমন্ত্রী যেসব উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন সেগুলো হলো -
উদ্বোধন: ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, পল্লীকবি জসীম উদ্দীন সংগ্রহশালা, ফরিদপুর ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলোজি, শিশু একাডেমি, কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের উপ-মহা পরিদর্শকের কার্যালয়, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, ফরিদপুর ৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্লান্ট, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের একাডেমিক কাম পরীক্ষা হল, সদর উপজেলার চর কমলাপুর খেয়াঘাট থেকে বিলমামুদপুর স্কুল সড়কে কুমার নদীতে ৯৬ মিটার আরসিসি ব্রিজ, ভাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নয়ন, আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, বিএসটিআই ভবন, ভাঙ্গা থানা ভবন, মধুখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, সদর উপজেলা থেকে বাখুণ্ডা জিসি হয়ে রসুলপুর ভায়া চরনিখুরদি সড়ক, সদর উপজেলার ডিক্রিরচর ইউনিয়নের মুন্সিডাঙ্গী কমিউনিটি ক্লিনিক এবং ৩৩/১১ কেভি হারুকান্দি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন: কুমার নদ পুনর্খনন, আলফাডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়, পুলিশ হাসপাতাল, পুলিশ অফিসার্স মেস, সালথা টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের একাডেমিক কাম প্রশাসনিক ভবন, চন্দ্রপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, ফরিদপুর সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের ছাত্রী নিবাস, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ১৫০০ আসন বিশিষ্ট মাল্টিপারপাস হল রুম, সালথা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, সদরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন প্রকল্প।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৭
এমইউএম/আরকেবি/এএসআর