মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সদর উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, হাওর রক্ষা বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে ধান।
ফসল হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
জেলার প্রায় সবক’টি হাওরের ফসল তলিয়ে গেছে বলে জানা যায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে।
এদিকে জেলার দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর ও সদর উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউপির ৩২০ হেক্টর জামির বর্ষাকালীন সবজির খেত নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষকরা দুর্নীতিবাজ ঠিকাদারদের শাস্তির দাবি জানান।
ক্ষুব্ধ কৃষক জমির আলী বাংলানিউজকে বলেন, ভাই আমি এ বছর জমি চাষ করেছি ঋণ করে। সব ফসলতো পানিতে তলিয়ে গেছে এ বছর একটি ধানও পাবো না। কীভাবে সংসার চালাবো, আর কীভাবেই বা ঋণের টাকা সুদ করবো, সে চিন্তায় আছি।
একই গ্রামের আরেক কৃষক মইনুল মিয়া বলেন, শীতের সময় যদি হাওরের বাঁধ ঠিকমতো দেওয়া হতো, তাহলে আর এ দুর্যোগের মধ্যে পড়তে হতো না। কিন্তু কাজ শুরু করতে দেরি হওয়ায় বৃষ্টির পানিতে বাঁধের মাটি গলে পানির সঙ্গে মিশে গেছে। ফলে সহজে বৃষ্টির পানি হাওরের ফসলি জমিতে ঢুকে পড়েছে।
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাহিদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, এখন পর্যন্ত ৭৯ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে। শাল্লা উপজেলার দিকে কিছু জমি রয়েছে সেখানে এখনও পানি ওঠেনি। তবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে এ জমিগুলোও রক্ষা পাবে কিনা সন্দেহ রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দীন বাংলানিউজকে জানান, হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ একটু দেরিতে শুরু হয়েছে। সুনামগঞ্জে অতিমাত্রায় বৃষ্টি হওয়ার ফলে বাঁধের উপর দিয়ে পানি ঢুকে গেছে। বর্তমানে সুরমা নদীর পানিও তিন ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৭
আরবি/আরএ