মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে শাহজাদপুর উপজেলা আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন কারাবন্দি মেয়র হালিমুল হক মীরুর স্ত্রী লুৎফুন নেছা পিয়ারী।
মেয়র হালিমুল হক মীরুর বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তিনজনকে আহত করার অভিযোগে
মামলাটি দায়ের করা হয়।
নামোল্লেখিত আসামিরা হলেন-শাহজাদপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র নাসির উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজল, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ভিপি মো. আব্দুর রহিম, যুবলীগ নেতা আশিকুল হক দিনার, ছাত্রলীগ কর্মী মাসুদ, সোহেল, জাহান, জীবন, রাসেল, এরশাদ, তরিকুল, শাহ আলম, আল মাহমুদ, বিপ্লব, আল আমিন, রনি, সেলিম।
সিরাজগঞ্জ জজ আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রফিক সরকার বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শাহজাদপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হাসিবুল হক শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, শাহজাদপুর পৌর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ভিপি মো. আব্দুর রহিম নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর থেকে বিজয়ী মেয়র মীরুকে হত্যাচেষ্টাসহ নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। এরই জের ধরে গত ২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে আব্দুর রহিম ও তার সমর্থকরা পিস্তল-ককটেল-রামদাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মেয়র মীরুকে হত্যার উদ্দেশে তার বাড়িতে হামলা করেন। এ সময় তারা এলোপাতাড়িভাবে গুলিবর্ষণ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও বাড়ি ভাঙচুর করেন।
এ ঘটনায় মেয়রের বাড়িতে থাকা সাহেব আলী, জহির আলী, কালু ও মানিক আহত হন। এ সময় বাড়ির লোকজন আসামিদের বাধা দিলে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে সাংবাদিক শিমুল গুলিবিদ্ধ হন এবং পরদিন মারা যান।
প্রসঙ্গত ২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মেয়র গ্রুপ ও ছাত্রলীগের একাংশের সংঘর্ষ চলাকালে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে গুলিবিদ্ধ হন সমকালের সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল। পরদিন ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মেয়র মীরু ও তার ভাইসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত সাংবাদিক শিমুলের স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম।
ইতোমধ্যে মামলার প্রধান আসামি মেয়র হালিমুল হক মীরু, তার ভাই হাসিবুল হক মিন্টুসহ ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, ০৪ এপ্রিল, ২০১৭
আরএ