ঢাকা, শনিবার, ২৫ মাঘ ১৪৩১, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ঝালকাঠি সদর উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের নামে মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০১৭
ঝালকাঠি সদর উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের নামে মামলা

ঝালকাঠি: এক ব্যবসায়ীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সুলতান হোসেন খানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৪ এপ্রিল) দুপুরে ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন আহত ব্যবসায়ী উত্তম দাস।

আদালতের বিচারক রুবাইয়া আমেনা অভিযোগটি এজারহার হিসেবে গ্রহণের জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, ঝালকাঠির পালবাড়ির বাসিন্দা বাশার, কীত্তিপাশা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস শুক্কুর মোল্লার ছেলে র‌্যাভেন মোল্লা, সিটিপার্ক এলাকার বাসিন্দা মিলন ওরফে চরের মিলন, রুনসী গ্রামের বাবুল ও স্বাধীন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সুলতান হোসেন খান ও তার বাহিনী এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। এর প্রতিবাদ করায় গত ২৭ মার্চ রাতে ঝালকাঠি কীত্তিপাশা বাজারের ব্যবসায়ী উত্তম দাসকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে টেনে হিচড়ে বের করে হত্যার উদ্দেশে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন চেয়ারম্যান সুলতান হোসেন খান ও তার লোকজন।

উত্তম দাসের চিৎকার শুনে বাজারের পাশেই তার বাড়ি থেকে ছুটে আসেন বোন রীনা দাস ও ভাইয়ের স্ত্রী অঞ্জনা দাস। এসময় তাদেরও পিটিয়ে আহত করা হয়। একই রাতে স্থানীয় গোবিন্দ ধবল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ মিয়াকে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে হাত ও পা ভেঙে দেয় তারা।

পরে আহতদের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তার গাড়িতে করে ঝালকাঠি থানায় নিলে থানা পুলিশ তাদের অবস্থা গুরুতর দেখে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঠায়। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত শিক্ষক আব্দুল লতিফ মিয়া ও ব্যবসায়ী উত্তম দাসকে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বাদীর আইনজীবী তরিকুল ইসলাম জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার লোকজনের ভয়ে থানায় মামলা করতে পারেনি ব্যবসায়ী উত্তম দাস। তাই তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেন।

এদিকে রোববার দুপুরে উপজেলার গোবিন্দ ধবল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ মিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান হোসেন খানসহ চারজনের বিরুদ্ধে ঝালকাঠি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

সেই মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ মার্চ রাতে ঝালকাঠি শহরের রোনালসে রোড থেকে গোবিন্দ ধবল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ মিয়াকে তুলে নিয়ে যায় সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সুলতান হোসেন খান ও তার সহযোগীরা।

উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়িতে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কেওড়া ইউনিয়নের রামনগর পুলিশ বক্সের পাশে একটি বালুর মাঠে। সেখানে হত্যার উদ্দেশে হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ওই প্রধান শিক্ষকের হাত ও পা ভেঙে দেওয়া হয়।

তবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুলতান হোসেন খান উল্টো তাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে জানিয়েছেন, ব্যবসায়ী উত্তম দাসসহ কয়েকজন মিলে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছেন। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৭
এমএস/এএটি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।