ঢাকা, শনিবার, ২৫ মাঘ ১৪৩১, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

শহীদ ভারতীয় সেনাদের ভোলেনি বাংলাদেশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০১৭
শহীদ ভারতীয় সেনাদের ভোলেনি বাংলাদেশ হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জম আলী, ছবি: বাংলানিউজ

নয়াদিল্লি থেকে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের ভারত সফরে দুইদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন ইস্যু সামনে এলেও অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ১৯৭১ সালে শহীদ ভারতীয় যোদ্ধাদের স্বজনদের সম্মান জানানো। এ কথাই এবার স্মারকের মাধ্যমে বলে দেওয়া হবে, ‘শহীদ ভারতীয় সেনাদের ভোলেনি বাংলাদেশ’।

ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জম আলী মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বাংলানিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী অনেক দিন ধরেই চিন্তা করছিলেন মুক্তিযুদ্ধে যে বন্ধুরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছিলেন তাদের অনেককে সম্মাননা দেওয়া যায়।

যেসব ভারতীয় সেনা বাংলাদেশ স্বাধীন করতে নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়ে গেছেন তাদের স্বজনদের এবার সম্মাননা দেওয়ার পালা। এ চিন্তা থেকে গত বছরের ডিসেম্বর থেকেই প্রধানমন্ত্রী ভারত আসতে চেয়েছেন।

হাইকমিশনার বলেন, মূলত ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একই সময়ে নয়াদিল্লিতে থাকা নিশ্চিত হচ্ছিল না। সে কারণেই বারবার পিছিয়ে যায় প্রধানমন্ত্রীর নয়াদিল্লি সফর। এবার সবই ঠিকঠাক মিলে গেছে, তাই আসছেন প্রধানমন্ত্রীও।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের আত্মসমর্পণের দলিলে সই, ছবি: ফাইল ছবি
সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে কানেকটিভিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে আরও বেশি করে। আসলে ব্রিটিশ আমলে এ অঞ্চলে যে যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল তা পুনরায় চালু করার চেষ্টা চলছে দুই দেশের মধ্যে।

তিনি বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্ব প্রদেশগুলো ভৌগলিক কারণেই বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রসারের অন্যতম ক্ষেত্র। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বৈষম্য কমাতে এর সুবিধা নিতে হবে। এ অঞ্চলে বিমান চালানোর বিষয়ে ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান একযোগে কাজ করতে পারে এ নিয়েও আলোচনা উঠবে বৈঠকে।

‘জ্বালানি বিনিময় এ সফরের এক উল্লেখযোগ্য বিষয়। আমরা ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ নিতে চাই। এখানে বিনিয়োগে ভারতকে চায় বাংলাদেশ ও ভুটান। তাইতো এ সফরে বিষয়টি নিয়ে সমঝোতা হতে পারে। ১৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী থিম্পু যাবেন, তখন ভুটানের সঙ্গে কথা হবে মনে করি,’ যোগ করেন এই কূটনীতিবিদ।

ভারতের ঋণ সহায়তা নিয়ে তিনি বলেন, ভারত এ সফরে ৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তা দিতে পারে, যা দিয়ে শুধু উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নয়; সেবা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করবে বাংলাদেশ।

বিএনপি-জামায়াত আমলে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বাংলাদেশে পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিল। তা থেকে শেখ হাসিনা মুক্ত করে ভারতকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এ মাটি তাদের কোনো ক্ষতির কারণ হবে না, বাংলাদেশ সে লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছে, যোগ করেন মোয়াজ্জেম আলী।

ভারতীয় ৭ শহীদের স্বজনদের ক্রেস্ট দেবেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ সময়: ০২০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৭
কেজেড/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।