বুধবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
আগামী বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বিকাল ৩টা থেকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ওলামা-মাশায়েখদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
সম্মেলনে কাবা শরিফ ও মসজিদে নববির খতিব এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, উদ্যানের প্রতি ইঞ্চি জায়গা কাভার করার জন্য সিসি টিভি ক্যামেরা বসানো হবে। সিসি টিভির ফুটেজ পর্যবেক্ষণের জন্য থাকবে ৩টি অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম।
নগরবাসীকে অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রয়োজন ছাড়া কেউ ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশে চলাচল করবেন না। সম্মেলনের দিন রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক বন্ধ ও ডাইভারশন দেওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হতে পারে।
শাহবাগ থেকে মৎসভবন ও শাহবাগ থেকে দোয়েল চত্বর, এই দুটি রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে দাওয়াত কার্ড যারা পাবেন তারাই উদ্যানে প্রবেশ করবেন। দাওয়াত কার্ড ও নিরাপত্তা কার্ড ছাড়া সম্মেলনস্থলে প্রবেশ না করতে অনুরোধ জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উদ্যানের ভেতর এবং বাইরে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। উদ্যানের আশপাশের এলাকায় চেকপোস্ট বসানো হবে। উপস্থিত থাকবে পুলিশের স্পেশাল উইপন্স অ্যান্ড ট্যাক্টিক্স (সোয়াট) দল ও বোমা ডিস্পোজাল ইউনিট।
সম্মেলনে আগতরা উদ্যানের ছবির হাট, টিএসসি, বাংলা একাডেমি, তিন নেতার মাজার ও কালি মন্দিরের গেট দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। উদ্যানের এসব প্রবেশদ্বারে থাকবে পর্যাপ্ত আর্চওয়ে। প্রত্যেককে এই আর্চওয়ে দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হবে। এছাড়াও প্রবেশকারীদের মেটাল ডিটেক্টর দিয়েও ম্যানুয়ালি তল্লাশি করবেন পুলিশ সদস্যরা।
সম্মেলনে সোয়াট ও বোমা ডিস্পোজাল ইউনিট কেন রাখা হচ্ছে সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, বাংলাদেশে কোনো নিরাপত্তা সংকট নেই, তবে আমাদের প্রস্তুতি সবসময় থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৭/আপডেট: ১৫১০ ঘণ্টা
এসজেএ/আরআর/এমজেএফ