ঢাকা, শনিবার, ২৫ মাঘ ১৪৩১, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মক্কা-মদীনার দুই ইমামের সাক্ষাৎ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০১৭
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মক্কা-মদীনার দুই ইমামের সাক্ষাৎ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মক্কা-মদীনার দুই ইমামের সাক্ষাত: ছবি-পিএমও

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন বাংলাদেশে সফররত সৌদি আরবের মক্কার পবিত্র কাবা শরীফ মসজিদুল হারামের ইমাম, খতিব ও ভাইস প্রেসিডেন্ট শায়খ ড. মুহাম্মদ বিন নাসির আল খুজাইম এবং মদিনার পবিত্র মসজিদে নববীর সিনিয়র ইমাম ও খতিব শায়খ ড. আবদুল মহসিন বিন মুহাম্মদ আল কাসিম।

এসময় প্রতিনিধি দলে ছিলেন আরও চার সদস্য।  

বুধবার (০৫ এপ্রিল) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষাতকালে ইসলামের প্রচার ও প্রসারসহ মুসলিম বিশ্বের কল্যাণের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

তিনি জানান, সাক্ষাতে সৌদি প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মক্কা-মদিনার প্রধান দুই ইমামের বাংলাদেশ সফরে দেশবাসী আনন্দিত বলে উল্লেখ করেন।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা এসেছেন আমরা আনন্দিত। পবিত্র মক্কা ও মদীনা আমাদের হৃদয়ে বিশেষ জায়গা করে আছে। ’

উপজেলাভিত্তিক মসজিদ নির্মাণ, আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ ইসলামের প্রসারে সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইসলামের প্রসারে আমরা কাজ করছি। ইসলাম শান্তির ধর্ম, ভাতৃত্বের ধর্ম। এর ব্যাপক প্রচার ও প্রসার প্রয়োজন। ’

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মক্কা-মদীনার দুই ইমামসহ প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ ছবি: পিএমও

ইসলামের প্রচার ও প্রসারের শেখ হাসিনা সরকারের নানামুখী উদ্যোগের প্রশংসা করেন প্রতিনিধি দলের নেতা শায়খ ড. মুহাম্মদ বিন নাসির আল খুজাইম। তিনি বলেন, ইসলামের প্রচার ও প্রসারে বাংলাদেশ ও সৌদি আরব এক সঙ্গে কাজ করে যাবে।

ব্যক্তিগতভাবে শেখ হাসিনারও প্রশংসা করেন তিনি। আল খুজাইম বলেন, ‘আপনি মুসলমানদের ও দেশের কল্যাণে অনেক কাজ করছেন। ’

বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যকার সুসর্ম্পকের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সর্ম্পক ঐতিহাসিক ও ভাতৃত্বের।

এ সময় বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে সর্ম্পক গভীরতর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসা করেন সৌদি প্রতিনিধি দলের ওই নেতা।

ইসলামকে শান্তির ও ভাতৃত্বের ধর্ম হিসেবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম। কিছু বিপথগামী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ইসলামের বদনাম করছে। ’

এ প্রসঙ্গে মক্কার এই সিনিয়র ইমাম বলেন, সৌদি আরবও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

আলোচনায় ইসলামের প্রচারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ইসলামের প্রচার ও প্রসারের জন্য বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন। আর তার সরকার এই ফাউন্ডেশনকে উন্নত করছে।  

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা করে সৌদি প্রতিনিধি দলের নেতা বলেন, ‘মহান আল্লাহ বঙ্গবন্ধুকে যেন বেহেশত নসীব করেন। ’

বাংলাদেশের আতিথেয়তায় তারা মুগ্ধ হয়েছেন বলেন জানান সফরত মক্কার সিনিয়র এই ইমাম।

শায়খ ড. মুহাম্মদ বিন নাসির আল খুজাইম বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে আরও বলেন, বাংলাদেশ সর্ম্পকে আমাদের ধারনা বদলে গেছে। বাংলাদেশ অনেক ভালো একটি দেশ।

এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি বাদশাকে বাংলাদেশ সফরে আমন্ত্রণের বিষয়টিও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমরা বাদশাহর আগমনের অপেক্ষায় আছি।

সৌদি বাদশাহ আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন এবং এ নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানান আল খুজাইম।

এর আগে ভোর রাতে সৌদি এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছান পবিত্র মক্কা ও মদিনার দুই ইমামসহ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলেম-ওলামা মহাসম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকা এসেছেন তারা।  

ওলামা সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন এই দুই ইমাম।  

আগামী ৭ এপ্রিল তাদের সৌদি আরবে ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।

গত চল্লিশ বছরের মধ্যে এই প্রথম পবিত্র বায়তুল্লাহ শরিফ ও মসজিদে নববীর ইমামদ্বয়সহ সৌদি আরবের শীর্ষ পর্যায়ের ছয় সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৭
এমইউএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।