ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বৈশাখী কেনাকাটায় চেনা ফুটপাত দোয়েল চত্বর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৭
বৈশাখী কেনাকাটায় চেনা ফুটপাত দোয়েল চত্বর দোয়েল চত্বরে বৈশাখী পসরা। ছবি: কাশেম হারুণ

ঢাকা: পরনে সুতির শাড়ি। হাতে কাঁচের চুড়ি। চুলে তাজা ফুলের মালা। পুরুষদের রঙিন পাঞ্জাবি- এতো গেলো বৈশাখের দৈহিক সাজ। কিন্তু ঘরের সাজ, আয়োজনের অনুষঙ্গ বাকি তো রয়েই গেলো। আর সেই বাকিটুকু নগদে নিতে এখন ভিড় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনে দোয়েল চত্বরে। মাটির শোপিসে তুলির আঁচড় বসিয়ে এখানে বিক্রি-বাট্টা বেশ জমেছে।

এই যেমন রোববার ৯ এপ্রিল বিকেলে গৃহিনী তসলিমা দোয়েল চত্বরে বেশ কয়েক দোকান ঘুরে ঘুরে নিজেকে কোন পুঁতির মালা বেশি মানায় সেটি দেখছিলেন।
 
উচ্ছ্বাস আনন্দের বাংলা নববর্ষ আরো মঙ্গলময় ও রঙিন করতে চেনা এই ফুটপাত এখন বাঙালিয়ানাময়।

সাজিয়ে রাখা মাটির তৈজসপত্র যেমন বিক্রি হচ্ছে তেমনি নারীদের গহনার সাজেও মাটির পণ্য মিলছে। নিজের পছন্দ আর রুচির সঙ্গে উৎসবকে মিলিয়ে নিতে এসব গহনার আবেদন অনেক!
 দোয়েল চত্বরে বৈশাখী কেনাকাটা।                                          ছবি: কাশেম হারুণ
এখানে মাটির তৈজসের মধ্যে রয়েছে পোড়ামাটির সানকি, পানি পানের জগ-মগ, চায়ের কাপ, হালিমের বাটি, ভাত বা ঝোল রাখার পাত্র।

তবে বিক্রেতাদের ভাষায়, বৈশাখের দিন পর্যন্ত চাহিদা বেশি থাকে মাটির হাড়ি, কুলা, একতারা-ডুগডুগি ও পাখায়। ছোট-বড় বিভিন্ন আকারের হাঁড়ি এবং কলসের চাহিদাও থাকে। ১শ’ থেকে ৩শ’ টাকায় এসব পণ্য পাওয়া যাচ্ছে।
 
অনেকে ঘর সাজানোর জন্য শিকায় ঝোলানো হাঁড়ি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। হাড়িতে বৈশাখের সাজ দিতে এখানে কারিগররা মাটির পাত্রে রঙ দিয়ে দিচ্ছেন। কেউ কেউ ইচ্ছেমতো নকশাও করিয়ে নিচ্ছেন। তবে নকশা বেশি দেখা যাচ্ছে ফুলদানি, সরা, হাড়ি ও কলসিতে। দোয়েল চত্বরে বৈশাখী কেনাকাটা।  ছবি: কাশেম হারুণ
 
বাংলা হ্যান্ডিক্র্যাফট-এর মালিক মো মনির বাংলানিউজকে বলেন, বৈশাখের বাজার হিসেবে তাদের বেশি বিক্রি তালিকায় আছে কুলা, একতারা, ডুগডুগি আর পাখা। কিন্তু আগের চেয়ে এখন এসব পণ্যের দাম কিছুটা বেশি। কারণ সরবরাহ কম এবং তারাই বেশি দামে এগুলো কিনে আনছেন।

মনির জানান, মাটির তৈজসপত্র আসে সাভার থেকে। একতারা আসে কুষ্টিয়া থেকে। বগুড়া থেকে আসে মাটির প্লেট, কাপ-পিরিস।
 
দিনে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা বিক্রি হয় তার দোকানে। তবে যে হারে খাটুনি সে হিসেবে পকেটে টাকা আসে না বলে কিছুটা অতৃপ্তি তার।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৭
এসএ/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।