ঢাকা, সোমবার, ২৭ মাঘ ১৪৩১, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

‘গাছ লাগান, তাপ কমান’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৭
‘গাছ লাগান, তাপ কমান’ আদমজী ক্যান্টনম্যান্ট স্কুলে বক্তব্য রাখছেন ডিএনসিসি মেয়র আনিসুল হক; ছবি- শাকিল

ঢাকা: রাজধানীর তাপমাত্রা কমাতে সবাইকে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক।

তিনি বলেছেন, এই শহরে যারা আছেন তারা সবাই চেষ্টা করবেন প্রতি বছর অন্তত একটি করে গাছ লাগাতে। সবাই মিলে গাছ লাগালে ৫ বছরে এতো গাছ হবে যে তাতে পুরো উত্তর সিটি কর্পোরেশনের এলাকা সবুজে ভরে যাবে।

সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর আদমজী ক্যান্টনম্যান্ট পাবলিক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তৃতায় এই আহ্বান জানান মেয়র।

‘ঢাকা বাঁচুক সবুজে, আমরা বাঁচবো ঢাকাতে’ এই স্লোগানে ডিএনসিসি’র প্রতিটি এলাকায় গাছ লাগানোর পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আদমজী ক্যান্টনম্যান্ট পাবলিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের হাতে চারা গাছ তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি স্কুলে একটি স্থায়ী ফলের বাগান করে দেওয়া হয়। এই স্কুলে প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ৭ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার শিক্ষার্থীর হাতে একটি করে চারা গাছ তুলে দেওয়া হয়।

মেয়র বলেন, প্রতিদিনই আমাদের ঢাকা শহরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে জরিপ করিয়েছিলাম। সেই জরিপে উঠে এসেছিল ঢাকার আশপাশে গাজীপুর, সাভার, টঙ্গীতে যদি ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকে তা হলে ঢাকায় হয় ৩৫ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে শিশুদের ফুসফুস নষ্ট হচ্ছে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ২৫ শতাংশ শিশুর ফুসফুস নষ্ট হচ্ছে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে। আমরা যদি ৮-১০ লাখ গাছ লাগাতে পারি তাহলে তাপমাত্রা কমে যাবে।  

তিনি বলেন, গত বছর উত্তরাতে ৩১ হাজার ৯৫৬টি গাছ লাগিয়েছি। এ বছর ১০ লাখের মতো গাছ লাগানোর চিন্তা ভাবনা আছে। এজন্য স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে গাছ লাগানো হবে। আমরা ছাদ প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এর মধ্যে দিয়ে যেখানে যতটুকু জায়গা আছে গাছ লাগানো হবে।

এ সময় মেয়র ৫টি উন্নত শহরের পরিসংখ্যান চিত্র তুলে ধরে বলেন, সিঙ্গাপুরের আয়তন ৭১৮ বর্গ কিলোমিটার জনসংখ্যা ১ কোটি ১৯ লাখ। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে বাস করে ৭ হাজার লোক। কোরিয়ার রাজধানী সিউলের আয়তন ৬০৫ বর্গ কিলোমিটার, জনসংখ্যা ১ কোটির মতো, প্রতি বর্গ কিলোমিটারে বাস করে ১৬ হাজার ৫২৮জন। টোকিওর আয়তন ২ হাজার ১৮৮ বর্গ কিলোমিটার, জনসংখ্যা ১ কোটি ৩৬ লাখ, প্রতি বর্গ কিলোমিটারে বাসকরে ৬ হাজার ২২৪ জন। বিশ্বের সবচাইতে সুন্দর শহর ক্যানবেরার আয়তন ৮১৪ বর্গ কিলোমিটার জনসংখ্যা ৩ লাখ ৫৬ হাজার, প্রতি বর্গ কিলোমিটারে বাস করে ৪৩৯ জন। মস্কোর আয়তন ২ হাজার ৫৮৩ বর্গ কিলোমিটার, লোকসংখ্যা ১ কোটি ১৯ লাখ, প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৪ হাজার ৪৪৭ জন বাস করে। আর ডিএনসিসি’র আয়তন মাত্র ৮৩ বর্গ কিলোমিটার, এখানে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে বাস করে ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ।   আমাদের ভাগ্য ভাল যে এখনও রাস্তায় হাঁটতে গেলে গায়ে গায়ে লাগে না।

আদমজী ক্যান্টনম্যান্ট পাবলিক স্কুলের অধ্যক্ষ লে. কর্ণেল মো. মনজুর মোর্শেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ডিএনসিসি’র প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আনোয়ার, স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল মনসুর মো.আশরাফ খান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৭
এসএম/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।