মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সৈয়দ আরিফ আজাদ এক অফিস আদেশে ১৮ এপ্রিলের মধ্যে তাকে (মো. জসিম উদ্দিন) বদলি করা কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে।
সোমবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে রায়পুর মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আসাদুল বাকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে, ফিশ হ্যাচারির এ ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাসহ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে রশিদ ছাড়া রেণু বিক্রি, বেশি রেণু বিক্রি করে সরকারী হিসাবে কম দেখানো, দরপত্র ছাড়া নির্মাণ-সংস্কার কাজ করানো ও পুকুরে অতিরিক্ত চুন দিয়ে পরিকল্পিতভাবে মা মাছ মেরে ফেলার ঘটনাও রয়েছে।
এসব বিষয়ে সম্প্রতি এলাকাবাসী অনিয়মের সুনির্দিষ্ট একাধিক তথ্য-প্রমাণসহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এবং ওই মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
এতে মৎস্য অধিদপ্তর থেকে তদন্ত কমিটি গঠনের পর ২২ জানুয়ারি ও ৭ ফেব্রুয়ারি অভিযোগের সরেজমিন তদন্ত ও শুনানি করে সংশ্লিষ্টরা। এর আগে ২১ ডিসেম্বর মৎস্য বিভাগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলীর তদন্তে এসে রেণু বিক্রির টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পায়। এতে হ্যাচারির সম্প্রসারণ সুপারভাইজার মো. কামাল উদ্দিনকে চৌমুহনী মৎস্যবীজ উৎপাদন খামারে বদলি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৭
জেডএস