ঢাকা, সোমবার, ২৭ মাঘ ১৪৩১, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

মঙ্গল শোভাযাত্রায় থাকবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৭
মঙ্গল শোভাযাত্রায় থাকবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা মঙ্গল শোভাযাত্রায় নিরাপত্তা নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারের সংবাদ সম্মেলন- ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এবারের পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গল শোভাযাত্রার সামনে পুলিশ ও পেছনে র‌্যাব এবং পুলিশের স্পেশাল ওয়েপন অ্যান্ড ট্যাকটিস (সোয়াট) বাহিনী থাকবে। পাশাপাশি শোভাযাত্রার দুই পাশে থাকবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বেষ্টনী।

যে পথ দিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে যাওয়া হবে সেই পথে থাকবে ওয়াচ টাওয়ার।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তার বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা জানান ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

কমিশনার বলেন, কেউ মুখোশ পড়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না, এমন কি মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজক সংস্থা চারুকলা ইনস্টিটিউটের কোনো সদস্যও মুখোশ ব্যবহার করতে পারবে না। এ বিষয়ে আয়োজক সংস্থার সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে।

মঙ্গল শোভাযাত্রার মাঝপথে কেউ ঢুকতে পারবে না, যারা শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে চায় তাদের সবাইকে চারুকলায় যেতে হবে বলেও জানানা তিনি।

পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে ১১ হাজার পুলিশ পোশাকে দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া সাদা পোশাকেও টহল দেবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। রমনা বটমূল, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো এলাকা সিসি টিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে।

অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের জন্য সকল দর্শনার্থীকে নিরাপত্তার স্বার্থে তল্লাশির আওতায় আনা হবে। রমনা ও সোহরাওয়ার্দীতে প্রবেশের জন্য সবাইকে আর্চ ওয়ের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করতে হবে।

সকল দর্শনার্থীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অনুগ্রহ করে কেউ অনুষ্ঠানস্থলে ব্যাগ নিয়ে আসবেন না। রমনার মূল অনুষ্ঠানে প্রবেশের সময় কোনো ধরনের ব্যাগ, ভ্যানিটি ব্যাগ, ব্যাকপ্যাক, ট্রলি ব্যাগ ও দিয়াশলাই না আনার অনুরোধ করেন তিনি।
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রমনা বটমূল কেন্দ্রীক স্কেচ ম্যাপ
পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানসমূহে পকেটমার, ছিনতাই ও ইভটিজিং প্রতিরোধে পুলিশের আলাদা টিম কাজ করবে। তারা সার্বক্ষণিক নজরদারি করবে বলেও জানান তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ২০১৫ সালের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ও ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।

পহেলা বৈশাখে সকল উন্মুক্ত স্থানের বিকাল ৫টার মধ্যে সব অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে। শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার ক্ষেত্রে এক ঘণ্টা বৃদ্ধি করে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত করা হবে। তবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ইনডোরে অনুষ্ঠান করা যাবে।

সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাবি এলাকায় শিক্ষার্থী ও অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া কেউ ঢুকতে পারবে না বলেও জানান তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, নববর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের থ্রেট কিংবা হুমকি নেই। বর্তমানে বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়েও কোনো শংকা নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৭ (আপডেট সময়: ১৩০০ ঘণ্টা)
এসজেএ/জিপি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।