চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরাসহ সব ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির প্রাণের এ উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে দিতে মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকালে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে পার্বত্য জেলা পরিষদ। স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ র্যালিতে অংশ নেন হাজার হাজার পাহাড়ি-বাঙালি।
পাহাড়িরা নিজস্ব পোশাক, বাদ্যযন্ত্র আর বিলুপ্তপ্রায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা নিয়ে নেচে, গেয়ে, বিচিত্র রংয়ে অংশ নেন ৠালিতে। রঙ্গিন ছাতায় পুরো র্যালিকে রাঙ্গিয়ে দেয় বিভিন্ন বয়সী মারমারা। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সরকারি হাইস্কুল মাঠে গিয়ে শেষ হয়। এখানে চলছে সপ্তাহব্যাপী বৈসাবি মেলা।
এছাড়া ত্রিপুরা কিশোর-কিশোরীদের ‘গরয়া নৃত্য’ ছিল আকর্ষণীয়। দৃষ্টি কাড়ে চাকমাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে অংশ নেওয়া নারী-পুরুষের স্বতঃস্ফূর্ততাও।
ৠালিতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, এনজিও কর্মী, সরকারি কর্মচারী, বিভিন্ন শ্রেণীপেশার নানা ধর্ম-বর্ণের মানুষের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
র্যালি ও মেলার উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মীর মুশফিকুর রহমান, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. মতিউর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আলী আহমদ খানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৭
ওএইচ/আরআই