চায়ের দেশে চৈত্র ফুরনোর দিন
মৌলভীবাজার: দুদিন পরেই ফুরোবে চৈত্রের দিন। পুরনো বছর পেছনে ফেলে মহাকালের দ্বারে কড়া নাড়ছে নতুন বাংলা বর্ষপঞ্জিকার নতুন বছর, নতুন সম্ভাবনা।
চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে চৈত্র ফুরনোর দিনেও অন্য রূপ। সে রূপের সন্ধানে মঙ্গলবার ভোরে (১১ এপ্রিল) ভাড়াউড়া চা বাগানের পথ ধরে হাঁটা।
চা বাগানের বিস্তীর্ণ প্রান্তর ঘিরে সূর্যের প্রথম কিরণ। রক্তিম বর্ণচ্ছটায় সেই আলোর উচ্ছ্বাস সবুজ পাতায় পাতায় তখন দারুণ মাখামাখি।
চৈত্রেও জমেছে শিশিরকণা। দু’টি পাতা একটি কুঁড়ির দল চৈত্রশিশির গায়ে মেখে নির্জন সকালে আত্মস্নিগ্ধতাকে তুলে ধরেছে।
চৈত্র শেষেও চা বাগানে কুয়াশা। কুয়াশার চাদর ভেদ করে শ্রমিকেরা বেরিয়ে পড়েছেন কর্মক্ষেত্রে টিকে থাকার প্রতিযোগিতায়।
চা গাছের নিচে খাবারের সন্ধানে ঘুরে বেড়ানো পাখিটির নাম পাকরা-শালিক (Asian Pied Starling)। সকালের আলো ফুটে উঠতেই ঘাসে ঘাসে পা রেখে আশ্চর্যভাবে এভাবেই প্রকৃতিতে প্রভাতের সূচনা করে তারা।
চা বাগানের ছোট লেক বা জলাধারে চরে বেড়াচ্ছে পাতি সরালি ( Lesser Whistling Duck)। সকালের মিষ্টি হাওয়া গায়ে মেখে অভিন্ন ধারায় যুগলবন্দী হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে তারা। পাহাড়ি টিলাজুড়ে এখনো রয়েছে কুয়াশার আবরণ। চা গাছনির্ভর দূরের ওই দৃশ্যগুলো শুধুই কুয়াশাময়।
পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ বরাবরই চা বাগানের নিজস্ব সৌন্দর্য প্রকাশ করে। যেনো বলছে ‘সতেজ নিঃশ্বাস আর প্রাণের স্বস্তি ফিরে পেতে আমার প্রাঙ্গণে রইলো তোমার নিমন্ত্রণ’।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৭
বিবিবি/এএ
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।