একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কেশবপুর উপজেলার মধ্যকুল মাঝের পাড়া গ্রামের মৃত জাহান বকস সরদারের সাত ছেলে তাজ উদ্দিন সরদার (৩২), রফিকুল ইসলাম সরদার (৩৫), সিদ্দিকুর রহমান সরদার (৩৮), আমজাদ সরদার (২৬), আব্দুল গনি সরদার (৪৫), নজরুল ইসলাম সরদার (৩০) ও মাসুদ সরদার (২২) এবং ভাইপো সিদ্দিকুর রহমান সরদারের ছেলে আসাদুজ্জামান লিটন (২০)।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে ৩টা ৪০ মিনিটে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ রব হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তরা কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহারের উদ্বৃতি দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি এনামুল হক জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২০০৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টার দিকে মধ্যকুল মাঝের পাড়া গ্রামের বাড়িতে মজিদ সরদারের ভাই মশিউর রহমান পলাশ ও তার স্ত্রী শাহিদা বেগমকে লাঠি দিয়ে মারধর করতে থাকেন আসামিরা। এসময় মজিদ সরদার বাধা দিলে তারা তাকেও বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করে।
তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওইদিনই বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মজিদ সরদার মারা যান। এ ঘটনায় মজিদ সরদারের ছেলে মো. বাবুল রানা বাদী হয়ে ১১ জনের বিরুদ্ধে কেশবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক নারায়ণ চন্দ্র ঘোষ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর মামলাটি যশোরের আদালত থেকে বিচারের জন্য খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৭
এমআরএম/জেডএস