ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ মাঘ ১৪৩১, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

তৈরি হচ্ছে প্রতিবন্ধীবান্ধব ফুটপাত

শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৭
তৈরি হচ্ছে প্রতিবন্ধীবান্ধব ফুটপাত প্রতিবন্ধীবান্ধব ফুটপাত নির্মাণ করছে ডিএনসিসি/ছবি: দীপু মালাকার

ঢাকা: রাজধানীর উত্তরা থেকে ধানমন্ডি-২৭ পর্যন্ত ৫টি অঞ্চলের সবগুলো ফুটপাত প্রতিবন্ধীদের চলাচল উপযোগী করে নির্মাণ করার উদ্যেগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

প্রতিবন্ধীরা যেন হুইল চেয়ারে করে নির্বিঘ্নে চলতে পারেন আবার দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা যেন তাদের লাঠির মাধ্যমে চলতে পারেন সেই বিবেচনা রেখেই তৈরি হচ্ছে ঢাকা উত্তরের ফুটপাতগুলো।

ফুটপাত প্রতিবন্ধীবান্ধব করার পাশাপাশি পরিবেশবান্ধবও হচ্ছে।

নগরীকে সবুজায়ন করতে গাছ লাগ‍ানোর ব্যবস্থা হচ্ছে এসব ফুটপাতে। প্রতিটি ফুটপাতে বর্গাকৃতির শেড নির্মাণ করা হচ্ছে যেন সেখানে একটি গাছ লাগানো যায়।

দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের বিশেষ সুবিধা দিতে ফুটপাত নির্মাণের প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে। ফুটপাতের যে জায়গাটি দিয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা যাবেন এবং যেখান থেকে তিনি রাস্তা অতিক্রম করবেন সেরকম জায়গা ঠিক করে সেখানে ‘বাটন’ টাইপের টাইলস বসানো হবে। যেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিটি লাঠির সাহায্যে বুঝতে পারেন এখান দিয়েই পার হতে হবে। এছাড়া প্রতিটি ফুটপাতের মুখে জিরো স্লাব বসানো হবে। যেন সহজেই হুইল চেয়ার দিয়ে উঠতে পারেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক/ছবি: দীপু মালাকার
আসছে ঈদুল ফিতরের আগেই গুলশান-বারিধারা এলাকার সকল ফুটপাতের দৃশ্য পাল্টে যাবে এমনটাই প্রত্যাশা ডিএনসিসির। অন্যান্য অঞ্চলের ফুটপাতও ২০১৮ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে।

এ বিষয়ে মেয়র আনিসুল হক বাংলানিউজকে বলেন, এমন ফুটপাত করা হবে, যেন একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বা অন্য যে কেউ চোখ বন্ধ করে ট্রলির মাধ্যমে অর্ধেক ঢাকা ঘুরতে পারেন বা হাঁটতে পারেন।

পুরো প্রকল্প সম্পর্কে ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী বাংলানিউজকে বলেন, গুলশান-বনানী-বারিধারা এলাকার ফুটপাতের কাজ রমজানের আগেই শেষ হয়ে যাবে। উত্তরা প্রকল্প মে মাসের মধ্যে শেষ হবে। আর মেগা প্রকল্পের আওতায় ২০১৮ সালের মধ্যে প্রতিটি জোনের ফুটপাতের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হবে। প্রতিবন্ধীবান্ধব করা হবে সবগুলো ফুটপাত।

এদিকে ডিএনসিসির আওতায় ১ হাজার ২৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে সকল ওয়ার্ডের প্রধান প্রধান সড়ক সংস্কারের জন্য। এই প্রকল্পের আওতায় ৮২ দশমিক ৬৩ বর্গ কিলোমিটার রাস্তা, নর্দমা সংস্কার ও নতুন করে নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে দিয়ে বদলে যাবে ডিএনসিসির রাস্তার চেহারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৭
এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।