ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ মাঘ ১৪৩১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

চতুর্থ দিনেও নৈরাজ্য, সিটিংয়ে ফেরার পাঁয়তারা পরিবহনে!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৭
চতুর্থ দিনেও নৈরাজ্য, সিটিংয়ে ফেরার পাঁয়তারা পরিবহনে! সিটিং সার্ভিস বন্ধের চতূর্থ দিনেও নানা পয়েন্টে নেই পাবলিক পরিবহন/ ছবি: মনি আচার্য্য

ঢাকা: পাবলিক বাসের সিটিং সার্ভিস বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকরের দিন থেকেই কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে রাজধানীতে যাত্রী ভোগান্তি চরমে তুলেছে মালিক পক্ষ। অনেকেই মনে করছে আবার সিটিং সার্ভিসে ফেরার পাঁয়তারা করছে মালিক পক্ষ।

বুধবার ( ১৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ফার্মগেট, খামারবাড়ি ও বাংলামটর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গত তিন দিন ধরে রাজধানীতে পরিবহন মালিকদের সৃষ্ট নৈরাজ্য চলে আসছে তার ব্যতিক্রম নেই চতুর্থ দিনেও। এই সব এলাকার স্পটে স্পটে গণ পরিবহনের সঙ্কটে ভোগান্তির চরমে সাধারণ মানুষ।

কেউ যাচ্ছেন হেঁটে কর্মস্থলে আবার কেউবা যাচ্ছেন সিএনজি বা রিক্সায়।

দেখা গেলো বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থামিয়ে সাধারণ যাত্রীরা অনুনয় বিনয় করছেন তাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য।  

ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসের জন্য অপেক্ষায় থেকে তারা সীমাহীন  দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

রাজধানীতে কৃত্রিম বাস সংঙ্কট

সাধারণের অনেকেরই মত, প্রথম যখন মালিক পক্ষ সিটিং সার্ভিস বন্ধের ঘোষণা দেয় তখন তারা খুশিই হয়েছিলেন। ভেবেছিলেন কম খরচে গন্তব্যে যেতে পারবেন। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে মালিক পক্ষ নাটক সাজিয়ে তাদের ভোগান্তিতে ফেলে আবার সিটিং সার্ভিসই ফিরিয়ে আনতে চায়।  

একজন বললেন, সিটিং সার্ভিসের বিরুদ্ধে যাত্রীদের মুখ চিরতরে বন্ধ করতেই মালিক পক্ষ এমন আচরণ করছে।  

রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের বাসিন্দা রহিম উদ্দিন খামারবাড়ি মোড়ে মিরপুরগামী বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তিনি বলেন, আমরা সবই বুঝি মালিক পক্ষ কী চায়। তারা আবার সিটিং নৈরাজ্যতে ফিরে যাবার চেষ্টা করছে।  কিন্তু আমরা আর সিটিং সার্ভিস মেনে নেব না। আমরা লোকাল সার্ভিসই চাই।

বাংলামটর এলাকায় বাসের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রী আয়েশা বিনতে ইয়াসমিন বলেন, সিটিং থেকে লোকালেই সুবিধা বেশি। রাজধানীর যানজটের কারণে সিটিং সার্ভিস ও লোকাল সার্ভিসের বাসগুলো একই সময়ে গন্তব্যে পৌঁছে। সেক্ষত্রে সিটিং সার্ভিসের ভাড়া অনেক বেশি। আর সেই বেশি মুনাফা লাভের আশায় মালিক পক্ষ এই অরাজকতা সৃষ্টি করছে।

সিটিং সার্ভিসে ফিরে যাবার বিষয়টি নিয়ে গণ পরিবহন চালকরাও ইংগিত দিচ্ছেন।

একাধিক চালকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যে কৌশলেই হোক না কেন মালিক পক্ষ সিটিং সার্ভিসে ফিরে যাবে। আর সিটিং সার্ভিসে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি ঠিক হবে না।  
আর একবার ফের সিটিং সার্ভিসে ফিরে গেলে রাজধানীতে হয়তো আর লোকাল সার্ভিসই থাকবে না, দাবি একজন চালকের।  

বিহঙ্গ পরিবহনের একজন চালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, আমরা তো গাড়ি নিয়ে বের হতে চাই কিন্তু মালিকের বাধার কারণে পারছি না। মালিকরা আমদের বলছেন কয়েক দিন ধৈর্য ধরতে। কিছু দিন পরেই নাকি আবার সিটিং সার্ভিস চালু হবে।

বাংলাদেশ সময় ১০৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯,২০১৭
এমএ/এমএমকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।