পার্বত্য নাগরিক পরিষদ এবং পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের ডাকে বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে এ হরতাল চলছে। ফলে সড়ক ও নৌ পথে কোনো যানবাহন ছেড়ে যায়নি।
বন্ধ রয়েছে দোকান-পাট। সরকারি অফিস-আদালত খোলা থাকলেও লোক সমাগম কম।
এদিকে, সকালে শহরের বনরূপা এবং মানিকছড়ি এলাকায় বাঙালি সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের পিকেটিং করতে দেখা গেছে। দুপুর পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) এবং পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এ ব্যাপারে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর বলেন, হরতালের সমর্থনে আমরা শহরের মানিকছড়ি এবং বনরূপা এলাকায় অবস্থান নিয়েছি। আমাদের দাবি মানা না হলে আরো কঠোর আন্দোলন করা হবে।
এদিকে, রাঙ্গামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রশিদ জানান, শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এখনো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
চলতি বছরের ১০ এপ্রিল ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক সাদিকুলকে অপহরণ করা হয়। এর তিনদিন পর ১৩ এপ্রিল রাঙ্গামাটির নানিয়াচর উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়নে মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনার জন্য বাঙালি সংগঠনগুলো পাহাড়ি আঞ্চলিক সংগঠনগুলোকে দায়ী করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৭
এসআই